নতুন দিল্লি, ৮ ডিসেম্বর: দিল্লির (Delhi) আনাজ মান্ডিতে চামড়া কারখানায় আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারত যদি দমকল কর্মী রাজেশ শুক্লা (Rajesh Shukla) ব্যাকআপের জন্য অপেক্ষা করতেন। আর সেটা করেননি বলেই তিনি প্রাণে বাঁচাতে পেরেছেন ১১ জনকে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এসে পৌঁছোয়নি তখনও পর্যন্ত। ছিল না সাহায্য করার মতো কেউ। সেই অবস্থাতেই আগে পিছে না ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আগুনের লেলিহান শিখার মধ্যে। এরপর সেখান থেকে একে একে নিরাপদে বার করে এনেছিলেন ১১ জনকে। এ হেন দমকল কর্মীকে তাঁর সাহসিকতার জন্য কুর্নিশ জানালেন দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Delhi Home Minister Satyendra Jain)।
আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হন রাজেশ শুক্লা। তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গেছিলেন মন্ত্রী। পরে টুইটে সেই ছবি পোস্ট করে রাজেশের বীরত্বের প্রশংসা করেন দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। টুইটে তিনি লেখেন, "ফায়ারম্যান রাজেশ শুক্লা একজন সত্যিকারের নায়ক। তিনি যেখানে আগুন লেগেছিল সেখানে প্রথম ঢোকেন ও ১১ জনের জীবন বাঁচান। হাড়ে চোট লাগা সত্ত্বেও শেষ অবধি তিনি কাজ করেছেন। এই সাহসী বীরকে সেলাম।" আরও পড়ুন: Delhi Fire Incident: উপহার সিনেমা থেকে করলবাগ, এক নজরে দিল্লির ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
আজ ভোর ৫টা নাগাদ দিল্লির (Delhi) রানি ঝাঁসি রোডের (Rani Jhansi Road) আনাজ মান্ডিতে (Anaj Mandi) একটি চামড়া কারখানায় (Factory) আগুন (Fire) লাগে। কিছুক্ষণ পর আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। কারখানার ভিতরে শ্রমিকরা ঘুমোচ্ছিলেন। এখনও পর্যন্ত ৪৩ জন মৃত (Dead) বলে সরকারি তরফে জানানো হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগ লোক শ্রমিক। যারা কারখানায় ঘুমোচ্ছিলেন। আধিকারিকরা সন্দেহ করছেন যে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে।
এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আগুনে মৃতদের পরিবারের জন্য ১০ লাখ টাকা এবং আহতদের এক লাখ টাকা সহায্য ঘোষণা করেছেন। দিল্লি সরকার এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছে। দিল্লি পুলিশ ওই বিল্ডিংয়ের মালিক রেহান ও ম্যানেজার ফুকরানকে গ্রেফতার করেছে। মামলাটি ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্ত করছে।