সুকমা, ৭ এপ্রিল: সিআরপিএফ-র (CRPF) কোবরা বাহিনীর কমান্ডো রাকেশ্বর সিংহ মনহাসের (Rakeshwar Singh Manhas) ছবি প্রকাশ করল মাওবাদীরা (Maoist)। স্থানীয় এক সাংবাদিকের কাছে ওই ছবি মাওবাদীরা পাঠিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ছবিতে রাকেশ্বর সিং মনহাসকে তালপাতায় ঘেরা একটি জায়গাতে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। শারীরিকভাবে সুস্থই মনে হচ্ছে ছবিতে। মনে হচ্ছে তিনি কথা বলছেন কারোর সঙ্গে। তবে সামনে থাকা ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের ছবিতে দেখা যাচ্ছে না। শনিবার ছত্তিশগড়ের সুকমা-বিজাপুর সীমানার জাগারগুন্ডা-জোঙ্গাগুড়া-তারেম জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন ২২ জন জওয়ান। ৩১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মাওবাদীরা কমান্ডো রাকেশ্বর সিংহ মনহাসকে বন্দি করে নিয়ে যায়। সোমবার একজন স্থানীয় সাংবাদিকের কাছে সোমবার আসে মাওবাদীদের। ফোনের ওপার থেকে বলা হয়, কোবরা কমান্ডোকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। যদিও পুলিশ এই দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখছে।
সেই দাবির সত্যতা জানিয়ে নিখোঁজ কোবরা (CoBRA) জওয়ান তাদের হেপাজতেই রয়েছে বলে জানায় মাওবাদীরা। জওয়ানের মুক্তির জন্য মধ্যস্থতাকারীদের নাম জানাক সরকার, এই দাবি করে তারা। বিবৃতিতে মাওবাদীরা দাবি করেছে যে তাদের লড়াই পুলিশ বা সুরক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধে নয়। বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সোমবার ছত্তিশগড়ে গিয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন, "চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২২ জওয়ানের আত্মত্যাগ সদা স্মরণ করা হবে এবং এই লড়াই আরও তীব্রতর করা হবে।" মাওবাদীদের মুখপাত্র অভয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “কাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নেবেন অমিত শাহ? নিপীড়িত মানুষ এবং মাওবাদীরা একই এবং দিনে দিনে নিপীড়িত মানুষ পুঁজিবাদী ও ব্রাহ্মণ্যবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে। আমরা বিশ্বাস করি যে বাহিনীতে নিয়োগ প্রাপ্তরাও শোষিত মানুষের অংশ এবং তারা যখন আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য অস্ত্র নিয়ে আসে তখন লড়াই করা আমাদের বাধ্যতামূলক। আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছি এবং সিপিআই (মাওবাদী) জনগণকে তাদের সন্তানদের সুরক্ষা বাহিনীতে না পাঠানোর আবেদন করছে।" আরও পড়ুন: Coronavirus Cases In India: ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৩৬ জন নতুন আক্রান্তকে নিয়ে সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণে ভারত
এদিকে মাওবাদীদের হাতে বন্দি থাকা রাকেশ্বর সিং মনহাসের মুক্তির দাবিতে স্থানীয়রা জম্মু-আখনূর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছে। রাকেশ শ্রীনগরের বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও এই প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন। রাকেশ্বর সিং মনহাসের স্ত্রী মীনু বলেন, যদি কোনও জওয়ান ছুটি শেষ হওয়ার একদিন পর ডিউটিতে রিপোর্ট করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ৩ এপ্রিল থেকে একজন জওয়ান নিখোঁজ রয়েছে, যদিও সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। জওয়ানের মুক্তির জন্য মধ্যস্থতাকারীর খোঁজ করা উচিত সরকারের।"