শান্তি চুক্তি একমাসের বেশি টিকল না। আবারও উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। রবিবারের পর সোমবারেও ইমফলের কাদাংবন্দ ও কউতরুক জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হয়ছিল। সেই সঙ্গে চলেছিল গুলিও। যদিও এই হামলার পর কুকি ও মৈতেহি  দুই সম্প্রদায়ের কেউই দায় শিকার করেনি। বরং একে অপরের দিকে আঙুল তুলতে ব্যস্ত। বিগত দুই দিনের হামলায় এখন পর্যন্ত এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন অনেকে। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে এনএসজির সঙ্গে বৈঠক করেছে রাজ্য পুলিশ। জানা যাচ্ছে, রাজ্যে আবারও আসতে পারে এনএসজি কম্যান্ডো। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলগুলি থেকে একাধিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। তা দেখেই রাজ্য পুলিশ আশঙ্কা করছে আগামীদিনে মণিপুরে আরও বড়ভাবে সংঘর্ষ লাগতে পারে।

পুলিশের ডিজিপি রাজীব সিং ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলগুলি পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা আমাদের এলাকায় নতুন। ফলে আমরা সেভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। তবে ইতিমধ্যেই অসম রাইফেলসের সঙ্গে একটি টিম গঠন করে এলাকাগুলির পরিস্থিতি নজরে রাখা হয়েছে। যতদিন না এনএসজি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ততদিন এক কাউন্টার হামলা নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়ে গিয়েছে। ফলে পরিকল্পনামাফিক হামলাকারীদের আটকাতে চাইছে রাজ্য পুলিশ ও অসম রাইফেলসের সদস্যরা। সেই সঙ্গে এই ঘটনার সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তিনিও উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে বৈঠকও করেছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার এই হামলার ঠিক আগেই এলাকার কিছু মানুষ আকাশে ড্রোন দেখতে পেয়েছিল। এবং সেই ড্রোনের নীচে কয়েকটি বস্তু ঝুলছিল বলেও পুলিশকে তাঁরা জানিয়েছিল। এই ড্রোন দেখার কিছুক্ষণ পরেই বোমা হামলা শুরু হয়। আর তাতেই মানুষজন আতঙ্কে ঘর থেকে বেরোলেই ড্রোন দিয়ে গুলি করার হয়। আর তাতেই এক ৩১ বছরের মহিলার তাঁর মেয়ের সামনেই মৃত্যু হয়। এবং সেই বাচ্চা মেয়েটি আহতও হয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে খবর।