Woman Doctor Suicide Note (Photo Credit: X)

মুম্বই, ২৪ অক্টোবর:  এ যেন 'রক্ষকই ভক্ষক'। শুনতে একটু অবাক লাগলেও মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) সাতারার একটি হাসপাতাল থেকে এমন খবর মেলে। রিপোর্টে প্রকাশ, মহারাষ্ট্রের সাতারার ওই হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসককে বিগত ৫ মাসে ৪বার ধর্ষণ করা হয়েছে। যে ঘটনায় অভিযুক্ত খোদ পুলিশ।

অভিযোগ, সাতারা হাসপাতালের ওই মহিলা চিকিৎসককে (Doctor) ৫ মাসে ৪বার ধর্ষণ করেছে পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টর। ৫ মাসে ৪ বার ধর্ষণের জেরে শেষে মানসিক চাপ আর সহ্য করতে পারেননি ওই মহিলা চিকিৎসক। ফলে তিনি আত্মহত্যা করেন। নিজের হাতে সুইসাইড নোট লিখে রেখে তারপর আত্মহত্যা করেন মহারাষ্ট্রের ওই মহিলা চিকিৎসক।

ওই মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর পর তাঁর হাতের তালুতে লিখে রাখা সুইসাইড নোট ভাইরাল হতে শুরু করে। যে সুইসাইড নোটে ওই মহিলা সাব ইন্সপেক্টর গোপাল বাডনের নাম উল্লেখ করেন। গোপাল বাডনে তাঁকে ধর্ষণ করে পরপর। সেই সঙ্গে চলত মানসিক নীপিড়নও। শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অবশেষে ওই মহিলা চিকিৎসক আত্মহত্যা করেন বলে জানা যায়।

ওই মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর পরপরই গোপাল বাডনেকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। গোপালের পাশাপাশি দ্বিতীয় পুলিশ অফিসার প্রশান্ত বাঙ্কারের বিরুদ্ধেও দায়ের করা হয় অভিযোগ। প্রশান্ত বাঙ্কারও ওই মহিলাকে মানসিক নির্যাতন করেছে বলে সুইসাইড নোটে উল্লিখিত।

ওই মহিলা চিকিৎসকের হাত থেকে যে সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়, সেখানে লেখা ছিল গোপাল বাডনের নাম। তিনি লেখেন, 'আমায় ৫ মাস ধরে ৪ বার ধর্ষণ করেছে গোপাল বাডনে। আমার মৃত্য়ুর জন্য গোপাল বাডনে দায়ি। ধর্ষণের পাশাপাশি গোপাল বাডনে আমার উপর মানসিক অত্যাচারও চালাত। তাই সহ্য করতে না পেরে আমি আত্মহত্যা করছি।'

জানা যাচ্ছে, সাতারার হাসপাতালে ওই মহিলা চিকিৎসকের আত্মহত্যার খবর পেতেই খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর গোপাল বাডনেকে বরখাস্ত করা হয়। তবে ওই মহিলা চিকিৎসকেের মৃত্যুতে রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে।

'পুলিশের কাজ নিরাপত্তা দেওয়া। আর সেই পুলিশই বর্তমানে মহিলাদের ধর্ষণের মত জঘন্য কাজে লিপ্ত।' প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলে এমনই ঘোরতর অভিযোগ করা কংগ্রেসের তরফে। মহারাষ্ট্রে মহায়্যুতি সরকার কী কাজ করছে বলেও প্রশ্ন তোলা হয় কংগ্রেসের তরফে।