
দিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি: ১৪৪ বছর পর যদি আবার মহাকুম্ভ (Maha Kumbh) হয়, তাহলে মানুষ আর সেখানে নদী পাবে না। নদীর(River) পরিবর্তে বালিতে মানুষকে স্নান করতে হবে। এবার এমনই মন্তব্য করলেন সোনম ওয়াংচুক। ক্লাইমেট অ্যাক্টিভিস্ট সোনম ওয়াংচুক সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) একটি চিঠি পাঠান। আর সেখানেই তিনি পরিবেশ নিয়ে চিন্তা ব্যক্ত করেন। পরবর্তী মহাকুম্ভে মানুষকে নদীর পরিবর্তে বালিতে ডুব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কারণ নদী শুকিয়ে যেতে পারে।
হিমালয়ের হিমবাহগুলি দ্রুত গলে যাচ্ছে। আর তাতেই নদীর প্রবাহ নিয়ে ভয় ধরছে। হিমালয়ের হিমবাহগুলিই একাধিক নদীর জলের উৎস। যে হারে হিমবাহের গলন শুরু হয়েছে,তাতে আর কতদিন নদী নিজের নাব্যতা বজায় রাখতে পারে,তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সোনম ওয়াংচুক। আর সেই আশঙ্কা থেকেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তিনি চিঠি লেখেন। হিমবাহগুলির গলন রোধ করতে প্রধানমন্ত্রী যদি পদক্ষেপ করেন, সে বিষয়ে মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই পরিবেশবিদ।
হিমবাহের গলন যাতে রোধ করা যায়, সে বিষয়ে ভারত হোক পথ প্রদর্শক। গোটা বিশ্বকে ভারত দেখিয়ে দিক, কীভাবে হিমবাহের গলন রোধ করা যায়। চিঠিতে মোদীকে এমনও জানান ওয়াংচুক। হিমলয়ের হিমবাহ-গলিত জল থেকেই ভারতেের দুই প্রধান নদী গঙ্গা এবং যমুনার প্রবাহ। ফলে এই নদীগুলিকে রক্ষা করতে হিমবাহের এই গলন রোধ করতে হবে বলে আবেদন করেন ওয়াংচুক।
বর্তমানে যেভাবে গাছ কাটা চলছে,তাতে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা। ফলে তাপমাত্রা যত বাড়ছে,তত গলছে হিমবাহ। এইভাবে যদি হিমবাহ তরতরিয়ে গলতে শুরু করে, তাহলে আর কয়েক দশকের মধ্যে গঙ্গা, ব্রক্ষ্মপুত্র-সহ আরও বহু নদীতে সব সময় জল থাকবে না। বছরের যে কোনও একটি সময়ে হয়ত মরশুমি নদী হিসেবে এগুলিকে চিহ্নিত করা হবে বলেও নিজের আশঙ্কায় জানান সোনম ওয়াংচুক।