প্রতিবেশীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফিলেছিল ৩ বছরের ছেলে। সেই অপরাধে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছিল মা। চার মাস পর নিজের অপরাধ স্বীকার করলেন মা। চার মাস আগে ছেলের মৃত্যুর ঘটনা সামনে এলে তিনি বলেছিলেন তিনি রান্না করছিলেন তখন তাঁর ছেলে খেলতে গিয়ে বারান্দা থেকে পড়ে যায়। তখন তাঁর পাপের কথা চেপে গেলেও নিজের অপরাধবোধ থেকে মঙ্গলবার স্বামীর কাছে তার অপরাধ স্বীকার করেন। ঘটনা শুনে চমকে উঠেছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররাও ।
স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপার ২৮ এপ্রিল। অভিযুক্তের স্বামী পুলিশ কনস্টেবল ধ্যান সিং তার প্লাস্টিকের দোকানের উদ্বোধনের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে অনেকের পাশাপাশি তিনি তার প্রতিবেশী উদয় ইন্দোলিয়া সহ অনেক লোককে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। প্রতিবেশী উদয় তার স্ত্রী জ্যোতি রাঠোরের প্রেমিকা ছিলেন। সবাই যখন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিল, জ্যোতি এবং উদয় ছাদে ঘনিষ্ঠ হয়েছিল। জ্যোতির ছেলে সানি ওরফে যতীন রাঠোরও তার মায়ের পিছু পিছু ছাদে গিয়েছিল যেখানে সে তার মা এবং উদয়কে কাছাকাছি আসতে দেখেছিল। জ্যোতি তার ছেলেকে দেখে ভয় পেয়ে যায় এবং ঘাবড়ে গিয়ে সানিকে তার সম্পর্ক লুকানোর জন্য ছাদ থেকে ফেলে দেয়।
দোতলা থেকে পড়ে শিশুটির মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। জয়রোগ্য হাসপাতালে এক দিনের জন্য তাকে ভর্তি করা হলেও পরের দিন ২৯ এপ্রিল শিশুটি মারা যান। বাড়ির লোকজন, বিশেষ করে বাচ্চাটির বাবা পুলিশ কনস্টেবল ধ্যান সিং ধারণা করছিল, অসাবধানতার কারণে তাদের ছেলে হয়তো বারান্দা থেকে পা পিছলে পড়ে গেছে।কিন্তু এই ঘটনার কিছুদিন পর থেকেই জ্যোতি ছেলেকে নিয়ে ভীতিকর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। এমনকি হ্যালুসিনেশনে তার ছেলেকেও দেখতে থাকে।
অবশেষে সে তার স্বামীর কাছে তার খুনের কথা স্বীকার করে। ধ্যান সিং তার স্বীকারোক্তি শোনেন, তার অডিও এবং ভিডিও রেকর্ডিং করেন এবং আবেদনপত্র সহ থাটিপুর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।