
প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর, ৩৫ টুকরো করে কেটেছিল লিভ ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। এই ঘটনা ইতিমধ্যে গোটা দেশে শিহরণ জাগিয়েছে।তারই মাঝে আরো একটি জঘন্য নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশিত হল এবার মধ্যপ্রদেশ থেকে, ২৫ বছর বয়সী শিল্পা ঝড়িয়াকে গলা কেটে হত্যা করে তারই মৃতদেহের সঙ্গে ভিডিও শ্যুট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিযুক্ত অভিজিৎ পতিদার। ঘটনার ভিডিও সামনে আসতেই পুলিশ তদন্তে নামে। জবলপুরের মেখলা রিসোর্টের একটি ঘর থেকে নির্যাতিতার রক্তমাখা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এক সপ্তাহ পেড়িয়ে গেলেও এখনো নিখোঁজ অভিযুক্ত অভিজিৎ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা সেই ভিডিওতে অভিজিৎ বলেছেন, "বেওয়াফাই নাহি করনে কা" তারপরে তিনি একটি কম্বল তুলে বিছানায় শুয়ে থাকা গলা কাটা একজন মহিলার দেহ সবাইকে দেখান। ভাইরাল ভিডিওতে অভিজিৎ নিজের পরিচয় দেন, পাটনার একজন ব্যবসায়ী হিসাবে এবং বলেন যে জিতেন্দ্র কুমার নামক তার ব্যবসায়িক অংশীদারের সঙ্গেও শিল্পার সম্পর্ক ছিল।অভিজিৎ দাবি করেছেন যে মৃত শিল্পা জিতেন্দ্রর কাছ থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে জবলপুরে পালিয়ে গিয়েছিল। তারপরেই জিতেন্দ্রের নির্দেশেই তিনি ওই মহিলাকে খুন করেছেন।অভিজিৎ জিতেন্দ্রের সহযোগী সুমিত প্যাটেলের নামও বলেছেন ওই ভিডিওতে। জিতেন্দ্র এবং সুমিত দুজনকেই বিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং জবলপুর পুলিশ বর্তমানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
হত্যার বিবরণ শেয়ার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবেশ বাঘেল বলেছেন যে অভিযুক্ত ৬ নভেম্বর মেখলা রিসোর্টে একটি রুম বুক করেছিল।"সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সে রাতে একা ছিল। পরের দিন, মহিলাটি বিকেলে রিসোর্টে তার সাথে দেখা করতে আসে এবং তারা খাবারের অর্ডারও দেয়। প্রায় এক ঘন্টা পরে, অভিযুক্ত হোটেলটির ঘরে তালা দিয়ে একাই চলে যায়। হোটেলের কর্মীরা ৮ নভেম্বর হোটেলের দরজা ভেঙ্গে মহিলার লাশ দেখতে পায়, এবং পুলিশকে খবর দেয়।
বিশেষ পুলিশ সুপার প্রিয়াঙ্কা শুক্লা জানিয়েছেন, অভিজিৎ এক মাস ধরে পাটনায় জিতেন্দ্রের বাড়িতে ছিলেন। তিনি বলেন, অভিজিতের খোঁজে বিহার ছাড়াও মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের দল পাঠানো হয়েছে।