প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Picture Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ১৬ জানুয়ারি: দেশজুড়ে আজ শুরু করোনার টিকাকরণ (COVID19 Vaccination)। সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্চুয়াল উদ্বোধনে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আজ আরও একবার আত্মনির্ভর ভারত নিয়ে গর্বপ্রকাশ করেন তিনি। অনেক স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশকর্মীরা লড়েছেন, কেউ প্রাণ হারিয়েছেন। আজ স্বাস্থ্য কর্মীদের টিকা দিয়ে তাদের ঋণ শোধ করছে, বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এই টিকা দেশের মানুষের জন্য সুরক্ষিত। ২টি ডোজের মধ্যে এক মাসের ব্যবধান থাকবে। দ্বিতীয় ধাপে ৩০ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

'আজকের দিনের জন্যই অপেক্ষা ছিল দেশবাসীর’, ‘করোনার ভ্যাকসিন কবে আসবে, প্রশ্ন ছিল এটাই’ ‘কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিশ্বের সর্ববৃহত্‍ টিকাকরণের সূচনা’, ‘বৈজ্ঞানিকদের ভ্যাকসিনের জন্য প্রশংসা প্রাপ্য’, ‘ওঁরা দিন-রাত এক করে কাজ করেছেন’, ‘ভ্যাকসিন তৈরি হতে অনেক সময় লাগে’, ‘এক্ষেত্রে খুব কম সময়ে জোড়া ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে’। সর্বোপরি ফ্রন্টলাইন কর্মীদের তিনি আবারও ধন্যবাদ জানান। আরও পড়ুন, প্রবল চাপের মুখে পিছু হঠল হোয়াটসঅ্যাপ, তিন মাস স্থগিত প্রাইভেসি পলিসি

যাঁর সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি, তিনি আগে পাবেন টিকা। পাশাপাশি ভ্যাকসিন নেওয়ার পর করোনা বিধি ভুলে গেলেও চলবে না তাও জানান। যতদিন না করোনা নির্মূল হচ্ছে ততদিন মাস্ক পড়ার আর্জি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যাঁরা দিন রাত এক করে ল্যাবে করোনার টিকা বানিয়েছেন তাঁদেরও কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির শুরুর দিন থেকে হয়ে আসা সমস্ত সমস্যার কথা আজ তাঁর বক্তৃতায় ফের তুলে ধরেন। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ভারতবাসী এক নতুন সকাল দেখবে বলে আশ্বাস দেন নরেন্দ্র মোদি।

আজ থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে করোনার টিকাকরণ। এ যেন অন্ধকার কাটিয়ে আলোর দিশা খুঁজে পাওয়া। টিকাকরণ অভিযান উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলি। দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদ, কলকাতা সহ প্রতিটি রাজ্যে চলছে ভ্যাক্সিনেশন।

আমাদের রাজ্যের ২১২টি ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে প্রথম দফার টিকাকরণ শুরু হবে। তার মধ্যে কলকাতায় রয়েছে ১৯টি। প্রত্যেক কেন্দ্রে প্রতিদিন ১০০ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভার ৫টি বরোতেও আজ ভ্যাকসিনেশন হবে। স্বাস্থ্য দফতরের ছাড়পত্র মিললে এরপর প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে টিকাকরণ চালু করবে পুরসভা।