WhatsApp-এর প্রাইভেসি পলিসি (Photo Credits: File Image)

প্রাইভেসি পলিসি বদলে সম্মতি না দিলে ৮ ফেব্রুয়ারি বন্ধ বা ডিলিট হয়ে যাওয়ার কথা ছিল হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) অ্যাকাউন্ট। আপাতত তা স্থগিত রাখা হল। মে মাস পর্যন্ত স্থগিত করল হোয়াটসঅ্যাপ। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে তাদের নতুন প্রাইভেসি পলিসি সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয় প্রবল বিতর্ক। ব্যক্তি তথ্য সুরক্ষিত থাকবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয় দেশজুড়ে।

 অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প অ্যাপের সন্ধান করতে থাকে। সিগন্যাল, টেলিগ্রামে চলে যায় অনেকে। প্রবল চাপের মুখে পড়ে আপাতত পিছু হঠল সংস্থা। আরও কিছু সময় নিয়ে নিল। ফেসবুকের অধিগৃহিত মেসেজিং অ্যাপটির নতুন প্রাইভেসি পলিসিতে অনুযায়ী, ফেসবুকের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সমস্ত তথ্য ভাগ করে নেওয়ার কথাই জানানো হয়। আর যার পর থেকেই প্রশ্ন উঠে যায় এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন নিয়ে। ব্যক্তি তথ্য তাহলে আর কতটা সুরক্ষিত থাকবে সে নিয়ে তৈরি হয় আশঙ্কা। আরও পড়ুন, সামস্যাং Galaxy S21, Galaxy S21+, Galaxy S21 আল্ট্রা, Galaxy স্মার্টট্যাগ এবং Galaxy বাডস প্রো লঞ্চ, দেখুন দাম

হোয়াটসঅ্যাপ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, নতুন প্রাইভেসি পলিসিতে সম্মতি না দিলে ৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে ডিলিট বা বন্ধ হয়ে যাবে অ্যাকাউন্ট। এই নিয়ে প্রবল বিতর্কে গ্রাহকদের বোঝাতে তিন মাস সময় নিচ্ছে। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন প্রাইভেসি পলিসি মেনে নিলে গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষিতই থাকবে।

তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকও হোয়াটসঅ্যাপের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংক্রান্ত নীতি বদল হওয়ার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে। গত কয়েক বছরে একাধিকবার হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। উস্কানিমূলক বার্তা ছড়ানো রোখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।