লখনউ, ১৯ জানুয়ারি: বর্তমানে অনেকটা থিতু হয়ে গেলেও, দেশজুড়ে সিএএ (CAA) বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে যোগীর রাজ্যেও। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিভিন্ন শহরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-হিংসার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২০ জন বিক্ষোভকারীর। তারমধ্যেই অন্যতম লখনউয়ের ঘণ্টা ঘরের জমায়েত। সেখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে হানা দিয়ে চক্ষুশূল হল রাজ্য প্রশাসন। মহিলা-শিশু নির্বিশেষে সেই জমায়েতে গিয়ে নির্বিচারে তাণ্ডব চালায় লখনউ পুলিশ। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদীদের দমিয়ে দিতে শীতের রাতে কম্বল এবং খাবারও পর্যন্তও তাঁদের কাছ থেকে কেড়ে নেয় পুলিশ বলে অভিযোগ। যা নিয়ে গত শনিবার রাত থেকেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। টুইটারে ট্রেন্ড #कम्बल_चोर_यूपी_पुलिस।
দিল্লির শাহিনবাগ (Shahin Bag, Delhi) থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লখনউয়ের ঘণ্টা ঘরের (Ghanta Ghar) সামনে গতকাল থেকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে বসেন প্রায় ৫০০ জন মহিলা। সেই জমায়েতে রয়েছে অসংখ্য শিশুও। ওই জমায়েতে গিয়েই তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনকি মহিলাদের কাছ থেকে খাবার-কম্বল কেড়ে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ঘটনা যখন হচ্ছে, তখন আন্দোলনকারীদের মধ্যে অনেকে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে চিৎকার করতে থাকেন, ‘উত্তরপ্রদেশ কি চোর পুলিশ!’ মহিলা ও শিশুদের খাবার-কম্বল কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় বইছে। আরও পড়ুন: Bar Council Notice To Nirbhaya Convict's Lawyer: আদালতে জাল নথি জমা দেওয়ার অভিযোগে নির্ভয়ার ধর্ষকদের আইনজীবী এপি সিংহকে নোটিস দিল দিল্লির বার কাউন্সিল
এর আগেও বেশ কয়েকবার সমালোচনার মুখে পড়ে যোগীর পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের গুলি চালিয়ে ২০ জনের মৃত্যু, আন্দোলন করলে পাকিস্তান (Pakistan) চলে যাওয়ার হুমকি, এমনকী মৃত ও নবতিপর মানুষদের নামে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে নোটিস পাঠানোর ঘটনা বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে। বিক্ষোভ দমনে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। পুলিশের ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন নেটিজেনরা। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন লখনউয়ের ঘটনা।