মিরাট, ১৮ অগাস্ট: রক্তাক্ত অবস্থায় পরিত্যক্ত নর্দমা থেকে উদ্ধার এক মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মিরাটে (Meerut)। মহিলাটির মুখে, গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর দাগ রয়েছে। পরিবারের অমতে নিজের ভালবাসার সঙ্গীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ওই মহিলা। তার জেরেই এই নির্মম অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে তাকে। তদন্তে নেমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মহিলার ভাই-সহ আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এনডিটিভি-র খবর অনুযায়ী, পরিত্যক্ত নর্দমায় পড়েছিল ওই মহিলার দেহ। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল নর্দমা। মহিলার মুখে গলায় গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে স্থানীয় বাসিন্দারা গোটা ঘটনাটির ভিডিও করতে শুরু করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠার পর ওই মহিলা পুলিশের সামনে তাঁর বয়ান রেকর্ড করেন। সেই বয়ানের ভিত্তিতেই মহিলার ভাই এবং এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিজের পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ওই মহিলা। তাতেই ঘটে বিপত্তি। আরও পড়ুন: Sushant Singh Rajput Case: মত্ত অবস্থায় আপত্তিজনক ভাবে রিয়া চক্রবর্তীকে জড়িয়ে ধরেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের দিদি প্রিয়াঙ্কা, অভিযোগ অভিনেত্রীর
মেয়েটির পরিবারের সকলেই ছিলেন এই বিয়ের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আর কারা কারা জড়িত রয়েছে। সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাটিকে পরে থাকতে দেখেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেননি কেউ। উল্টে সকলে মিলে পুরো বিষয়টি ক্যামেরাবন্দি করেছেন। যার জেরে পুলিশকর্মীরা সাধারণ মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন এই ধরণের পরিস্থিতিতে। কারণ এতে বেঁচে যেতে পারে অনেক মানুষের প্রাণ। প্রসঙ্গত, এই ধরণের ঘটনায় যদি কোনও ব্যক্তি এগিয়ে আসেন এবং দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন পুলিশ আসার আগেই। তাহলে সেক্ষেত্রে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী। তাই পুলিশের জন্য অপেক্ষা না করে এই ধরণের ঘটনায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন প্রবীণ পুলিশ অফিসার অবিনাশ পাণ্ডে।