প্রতীকী ছবি (Photo Credit: X)

Plane Crash: ভারতের ইতিহাসে বেশ কয়েকটি বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা দেশকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর চরখি দাদরিতে বিমান দুর্ঘটনায় ৩৪৯ জন নিহত হয়েছিল, যা দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। আজ আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করা হল।

১২ নভেম্বর, ১৯৯৬ - চরখি দাদরির মাঝ আকাশে সংঘর্ষ

দিল্লির কাছে সৌদি আরব এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৪৭ এবং কাজাখস্তান এয়ারলাইন্সের ইলিউশিন ইল-৭৬ বিমানের সংঘর্ষে উভয় বিমানের ৩৪৯ জন নিহত হয়। কারণ ছিল পাইলটের ভুল এবং বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণের সাথে ভুল যোগাযোগ। এটি ভারতের ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা।

২২ মে, ২০১০ - ম্যাঙ্গালোর বিমান দুর্ঘটনা

দুবাই থেকে ম্যাঙ্গালোর আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বোয়িং ৭৩৭ অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়।

মৃত্যু: ১৫৯ জন নিহত হন, যার মধ্যে ১৯ জন শিশু ছিল। ৭ জন যাত্রী অলৌকিকভাবে বেঁচে যান।

কারণ: পাইলটের ভুল এবং ম্যাঙ্গালোরের পাহাড়ি ভূখণ্ডে তৈরি বিমানবন্দরের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়।

৭ আগস্ট, ২০২০ - কোঝিকোড় বিমান দুর্ঘটনা

কালিকট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের দুবাই-কোঝিকোড় ফ্লাইট অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং দুটি ভাগে ভেঙে যায়।

মৃত্যু: ১৮ জন নিহত হন, ১৭২ জন বেঁচে যান।

কারণ: প্রবল বৃষ্টি এবং সম্ভবত পাইলটের ভুল এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।

১৭ জুলাই, ২০০০ - পাটনা বিমান দুর্ঘটনা

কোলকাতা থেকে নয়াদিল্লিগামী অ্যালায়েন্স এয়ারের একটি বোয়িং ৭৩৭ পাটনার একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

মৃত্যু: ৫৫ জন নিহত হন, যার মধ্যে মাটিতে থাকা ৫ জনও ছিল।

কারণ: যান্ত্রিক ত্রুটি এবং পাইলটের ত্রুটি এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত

আরও পড়ুন: Air India Flight Crash: এখনও চলছে আগুন নেভানোর কাজ, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সব শেষ, বিমান ভেঙে পড়ার আগেও এটিসি-তে বার্তা দিয়েছিলেন পাইলট

১৬ আগস্ট, ১৯৯১ - ইম্ফল বিমান দুর্ঘটনা

ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭ ইম্ফলে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়।

মৃত্যু: ৬৯ জন নিহত হন।

কারণ: পাইলটের নিয়ন্ত্রণ হারানো এবং প্রতিকূল আবহাওয়া দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২৬ এপ্রিল, ১৯৯৩ - ঔরঙ্গাবাদ বিমান দুর্ঘটনা

ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭ ঔরঙ্গাবাদে টেকঅফের সময় একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে বিধ্বস্ত হয়।

মৃত্যু: ৫৫ জন নিহত, ৬৬ জন আহত হন।

কারণ: রানওয়েতে ট্রাকের অনুপ্রবেশ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি এই দুর্ঘটনার কারণ।

২৮ জুলাই, ১৯৬৩ - মুম্বই বিমান দুর্ঘটনা

মুম্বই বিমানবন্দরের কাছে ইউনাইটেড আরব এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়।

মৃত্যু: ৬৩ জন নিহত হন।

কারণ: প্রযুক্তিগত ত্রুটি এবং পাইলটের ভুল এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত।

২৫ মে, ১৯৫৮ - গুরুগাঁও বিমান দুর্ঘটনা

গুরুগাঁওয়ে একটি অ্যাভ্রো ইয়র্ক বিমান বিধ্বস্ত হয় এবং আগুন ধরে যায়।

মৃত্যু: ৫ জন আরোহীর মধ্যে ৪ জন নিহত হন।

কারণ: যান্ত্রিক ত্রুটি এবং আগুন এই দুর্ঘটনার কারণ ছিল।

৭ জুলাই, ১৯৬২ - মুম্বইয়ের কাছে আলিটালিয়া দুর্ঘটনা

মুম্বাইয়ের উত্তর-পূর্বে একটি পাহাড়ে আলিটালিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়।

মৃত্যু: ৯৪ জন নিহত হন।

কারণ: নেভিগেশন ত্রুটি এবং খারাপ আবহাওয়া দায়ী ছিল।

১২ জুন, ২০২৫ - আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা

আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার টেকঅফের সময় ভেঙে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্যের সবাই নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, পাইলট বিপদ সংকেত পাঠিয়েছিলেন, তবে এটিসির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুর্ঘটনার কারণ এখনো তদন্তাধীন।