লাক্ষাদ্বীপ, ১৯ জানুয়ারি: ভারতে করোনার থাবা পড়েছে বছর ঘুরতে চলল। সবমিলিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৫ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৭৩। মৃত্যু মিছিলে শামিল ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৪১৯ জন। তবে এই ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যেও এতদিন পর্যন্ত কোভিড-হীন ছিল লাক্ষাদ্বীপ (Lakshadweep)। তবে মহামারী দূর হওয়ার আগে আর শেষরক্ষা হল না, সোমবার প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মিলল লাক্ষাদ্বীপে। এতদিন হু হু করে ছড়ানো সংক্রামক কোভিড থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে এসেছে তবে শেষমেশ বিপর্যয় যেন বাধ মানল না। আক্রান্ত ব্যক্তি যদিও লাক্ষাদ্বীপের বাসিন্দা নন। তিনি ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নে কর্মরত। গত ৩ জানুয়ারি লাক্ষাদ্বীপের উদ্দেশে কোচি থেকে জাহাজে রওনা দেন।
সোমবার লাক্ষাদ্বীপে পৌঁছানোর পর তাঁর প্রথাগত কোভিড টেস্ট হলে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সঙ্গে সঙ্গেই ওই জাহাজে আসা অন্য যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এদিকে প্রাথমিকভাবে যাঁরা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের প্রত্যেকের সোয়াব টেস্ট হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে বাইরে থেকে দ্বীপে প্রবেশের জলপথ ও আকাশপথ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে দ্বীপে প্রবেশ করতে হলে সেখানে আগমনের ৪৮ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর করাতে হবে। সেই টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই লাক্ষাদ্বীপে প্রবেশের অনুমতি মিলবে। তবে আশার বিষয়, আক্রান্ত ব্যক্তি লাক্ষাদ্বীপে এলেও তিনি সেখানকার বাসিন্দা নন। তাই স্থানীয়দের মধ্যে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশ কম। আরও পড়ুন-Winter In West Bengal: পারদ সামান্য চড়লেও সপ্তাহান্তে মাঘের শীতে কাঁপবে রাজ্য
এদিকে করোনা টিকা কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। দ্বিতীয় দিন কাটলেও টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি দেশ। এমনকী, টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। এমন খবর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছে। টিকা নেওার একদিনের মধ্যেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। হৃদরোগে মারা গেছেন অনেকে। যদিও প্রশাসনের দাবি, এই মৃত্যুর সঙ্গে কোভিড টিকার কোনও সংযোগ নেই।