কুলদীপ সিং সেঙ্গার(Photo Credit: PTI)

লখনউ, ৬ সেপ্টেম্বর: উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত কুলদীপ সিং সেঙ্গারই (Kuldeep Singh Sengar) পরিকল্পিতভাবে তাঁকে মারতে চেয়েছিল। সেকারণেই তাঁদের গাড়ির উপরে চলে আসে ট্রাক। পিষে মারার এই পরিকল্পনার মাস্টার মাইন্ড কুলদীপ সিং সেঙ্গার। এইমসের (AIIMS) চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থাতেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ডের নির্যাতিতা (Unnao rape survivor) । গত ২৮ জুলাই নির্যাতিতাদের গাড়ির উপরে চলে আসে ট্রাক। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তাঁর দুই কাকিমা। গুরুতর আহত হন নির্যাতিতা নিজে ও তাঁর আইনজীবী। যিনি গাড়িটির চালকের আসনে ছিলেন। হাসপাতালের বিছানা থেকেই টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্যাতিতা বলেন, ঘটনার দিন তিনি যখন আদালতে উপস্থিত ছিলেন তখনই কুলদীপ সেঙ্গারের এক সহযোগী তাঁকে খুনের হুমকি দেয়।

এই হুমকির কিছুক্ষণের মধ্যেই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়। তাই স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে কার প্ররোচনায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়কের মা নির্যাতিতাকে খুনের হুমকি দেয়, তার ভিত্তিতে থানায় গিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। আদালতে কুলদীপের সঙ্গী তাঁকে সেই কেস তুলে নিতে বলে। তিনি আরও জানান, গাড়িতে করে যখন তাঁরা বাড়িতে যাচ্ছিলেন সেই সময় তিনি স্পষ্ট দেখেছেন উল্টো দিক থেকে আসা ট্রাকটি একেবারে গাড়ির সোজাসুজি আসছিল। নির্যাতিতাদের গাড়িটিকে পিষে দেওয়াই যে ট্রাকের লক্ষ্য ছিল তা একেবারে স্পষ্ট। এই গোটা ঘটনার পিছনে কুলদীপ সিং সেঙ্গারের হাত রয়েছে। সে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে খুন করতে চেয়েছিল। নির্যাতিতাকে মারার জন্য জেলের ভিতরে বসেও সেঙ্গার যত দূর যেতে হয় যাবে। আরও পড়ুন-জেএনইউ-র ঘটনা কোনও রাষ্ট্রদ্রোহ নয়, কানহাইয়া কুমার ও উমর খালিদদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বাতিল করল দিল্লির সরকার

দুর্ঘটনার দুদিন পরে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ জানতে পারে নির্যাতিতারদের গাড়িটি পিষে দেওয়া ট্রাকের মালিক আসলে সমাজবাদি পার্টির নেতা নান্দু পালের দাদা দেবেন্দ্র পাল। ট্রাকটির নম্বর প্লেটটি অধরাই ছিল। পুরো কালো রঙে পোচে নম্বরই দেখা যাচ্ছিল না। রায়বেরিলি জেলে অন্য একটি মামলায় কারণে বন্দি ছিলেন নির্যাতিতার কাকা। তাঁর সহ্গে দেখা করে ফিরছিল গোটা পরিবার। ধর্ষণকাণ্ডের পর নির্যাতিতা যখন পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তখনই তাঁর বাবাকে খুন করে দেয় কুলদীপ সিং সেঙ্গারের ভাই মনোজ সিং। এই দুই ভাই-সহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওই নাবালিকার ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত এই বিজেপি নেতা কুলদীপ সিং সেঙ্গার। চাকরি চাইতে এমএলএ কুলদীপের বাড়িতে গিয়েছিল নাবালিকা, সেই সময় ২০১৭-র চার জুন নিজের বাড়িতেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে কুলদীপ সিং সেঙ্গার।