Kerala Case (Photo Credit: X)

হায়দরাবাদ, ১২ অগাস্ট: আইনি বিয়ের নাম করে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটক রাখল প্রেমিকের পরিবার। ধর্মান্তরিত হতে হবে, তারপর বিয়ে করতে হবে। এমনই চাপ বার বার দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আটকে রেখে মারধরের অভিযোগে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেন বছর ২৩-এর এক তরুণী। সোনা এলডোস নামে ওই তরুণী কেরলের (Kerala) এর্নাকুলামের বাসিন্দা।

সোনা টিচার ট্রেনিং কোর্সের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল রামিস নামে এক যুবকের। অভিযোগ, রামিস সোনার উপর অত্যাচার করত। সোনাকে ধর্মান্তরিত হয়ে তবেই তাঁকে বিয়ে করতে হবে। এমন শর্ত আরোপ করে রামিস। শুধু তাই নয়, আইনি বিয়ের নাম করে রামিস তার নিজের বাড়িতে সোনাকে নিয়ে যায়। এরপর ঘরে বন্ধ করে রেখে অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ।

চিঠি লিখে রেখে আত্মহত্যা করেন সোনা এলডোস...

 

কোনওক্রমে রামিসের বাড়িতে থেকে সোনা এলডোস পালিয়ে যান। বাড়িতে গিয়ে চরম সিদ্ধন্ত নেন সোনা। তিনি আত্মহত্যা করেন। তবে মৃত্যুর আগে শেষ নোট লিখে রেখে যান সোনা। যেখানে রামিস এবং তার বাড়ির লোকের অত্যাচার নিয়ে সরব হন বছর ২৩-এর ওই ছাত্রী। সোনার মা বিন্দু অফিস থেকে ফেরার পর ঘরের মধ্যে মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পান।  এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

যে সুইসাইড নোট পুলিশ উদ্ধার করে, সেখানে রামিস এবং তার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখে রেখে যান সোনা। তিনি জানান, রামিসের চাপে তিনি ধর্মান্তরিত হবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে তা পালটে ফেলেন পরে। এরপরই রামিস এবং তার মা সোনাকে নানাভাবে অত্যাচার করত মানসিক এবং শারীরিভাবে। পরিবার নিয়ে কুকথা বলা হত। সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান সোনা এলডোস।

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। রামিসের পরিবার আর কীভাবে সোনার উপর অত্যাচার চালায়, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানানো হয় পুলিশের তরফে।