পাঠানকোট, ১০ জুন, ২০১৯: কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলায় (Kathua Rape Case)৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল পাঠানকোটের (Pathankot)জেলা দায়রা আদালত। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাঁদের। পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জী রাম, দুই বিশেষ পুলিস অফিসার দীপক খাজুরিয়া, সুরেন্দ্র বর্মা এবং পুলিস কনস্টেবল আনন্দ দত্ত, হেড কনস্টেবল তিলক রাজ এবং প্রবেশ কুমারকে দোষী রায় দিয়েছে আদালত। বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিচারক দোষী সাব্য়স্ত ৩ জন সঞ্জী রাম, প্রবেশ কুমার এবং দীপক খাজুরিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত। আর বাকি তিন জন এস আই আনন্দ দত্ত, হেড কনস্টেবল তিলক রাজ এবংএসপিও সুরেন্দ্র বর্মাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১০০০ পুলিসকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে আদালত চত্ত্বরে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বম্ব স্কোয়াডকেও।
গত ৩ জুন অন ক্যামেরা মামলার শুনানি শেষ হয়। সেদিনই পাঠানকোটের জেলা দায়রা আদালতের বিচারক তেজেন্দ্র সিং জানিয়েছিলেন ১০ জুন হবে রায়দান। সেই মত আজই রায়দান হওয়ার কথা। গত বছর জানুয়ারি মাসে ঘটেছিল নারকীয় এই গণধর্ষণের ঘটনাটি। ৮ বছরের বালিকাকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। চারদিন ধরে টানা ধর্ষণের পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে বালিকা। ঘটনায় জড়িত ছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতার ছেলেও। ১৫ পাতার চার্জশিটে অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করেছে সিবিআই।আরও পড়ুন, বছরে ১০ লক্ষ টাকা তুললে দিতে হতে পারে অতিরিক্ত ট্যাক্স , নয়া নিয়মের পথে মোদি সরকার!
এই নিয়ে গত বছর উত্তাল হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর। সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠলেও নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে সেটি পাঠানকোটে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো কড়া নিরাপত্তায় পাঠানকোটেই চলে শুনানি। অভিযুক্তরা যদিও জামিনে মুক্ত রয়েছে।