বেঙ্গালুরু, ২৪ অগাস্ট: ধর্ষিতাকে বিয়ে করায় ধর্ষকের বিরুদ্ধে (Rape Case) মামলা বাতিল করল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। বিচারপতি এম নাগপ্রসন্ন (Justice M. Nagaprasanna) এই নির্দেশ দিয়েছেন। বেঙ্গালুরু আরবান জেলার বাসিন্দা রামার দায়ের করা আবেদনের অনুমতি দেওয়ার সময় বিচারপতি এই রায় দেন। ১৭ বছর বয়সি এক যবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল ২০ বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুনানি চলাকালীন আদালত এটা জানতে পারে যে মেয়েটি ও ছেলেটির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ১৮ বছর বয়স হওয়ার পরে মেয়েটি স্বেচ্ছায় ছেলেটিকে বিয়ে করেন। বিয়ের এক বছর পর দম্পতি এক সন্তান হয়।টি সন্তানের জন্ম দেন এবং তার সঙ্গেই বসবাস করছেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, "এই তথ্যগুলি যদি আদালত বিবেচনা না করে, যদি আদালত বিবাহিত এবং সন্তান লালন-পালনকারী দম্পতিদের জন্য তার দরজা বন্ধ করে দেয়, তাহলে পুরো প্রক্রিয়াটি ন্যায়বিচারের গর্ভপাত ঘটাবে।"
২০১৯ সালের মেয়েটির বাবার দায়ের করা নিঁখোজ অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি শুরু হয়েছিল। সেই সময় ধর্ষণে অভিযুক্ত রামার বয়স ছিল ২০ বছর, এখন তাঁর বয়স ২৩ বছর। পুলিশ তদন্তের পরে রামার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে অপহরণ, ধর্ষণে ও পকসো আইনে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। হাইকোর্ট উল্লেখ করেছে যে মেয়েটি ২০১৯ সালের অক্টোবরে ট্রায়াল কোর্টের সামনে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন যে সম্মতির ভিত্তিতেই যৌন সম্পর্ক করেছিলেন অভিযুক্ত। আরও পড়ুন: Land-For-Jobs Scam: 'সিবিআই দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি', চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে জমি হাতানোর মামলায় তোপ রাবড়ির
২০২০ সালের মার্চ মাসে মেয়েটি ১৮ বছরে পা দেয়। ওই বছরের জুন মাসে ট্রায়াল কোর্টের সামনে একটি হলফনামা দাখিল করেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি অভিযুক্তের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি করেন। এটাও দাবি করেন যে তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক সম্মতিপূর্ণ ছিল এবং এই হলফনামার উপর ভিত্তি করে ট্রায়াল কোর্ট অভিযুক্তকে জামিন দেয়। ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর মেয়েটি রামাকে বিয়ে করেল এবং একই দিনে তাঁদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দম্পতির একটি মেয়ে হয়।
স্ত্রীর সঙ্গে একটি যৌথ মেমো দাখিল করে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগটি বাতিল করার জন্য ২০২২ সালের জুলাই মাসে হাইকোর্টে যান রামা। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে রামার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।