Pak Spy Jyoti Malhotra (Photo Credit: X)

দিল্লি, ২০ মে: জ্য়োতি মালহোত্রার (Jyoti Malhotra) ডায়রি উদ্ধার করেছে পুলিশ (Haryana Police)। পাক চর (Pakistani Spy) জ্যোতি মালহোত্রার যে ডায়রি পুলিশ উদ্ধার করেছে, সেখানে তার পাকিস্তান ভ্রমণের বেশ কিছু কথা লেখা রয়েছে। ১১ পৃষ্ঠার ওই ডায়রিতে জ্যোতি ইংরেজি এবং হিন্দিতে নিজের বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণের কথা লিখে রাখে। পাকিস্তানে যখন জ্যোতি গিয়েছিল, সেখানকার অভিজ্ঞতার কথা যেমন ডায়রিতে লেখা রয়েছে, তেমনি অন্যান্য জায়গার অভিজ্ঞতার কথাও ওই ডায়রিতে রয়েছে লেখা। ফলে জ্যোতির যে ডায়রি উদ্ধার করা হয়েছে, সেখান থেকে বেশ কিছু তথ্য উদ্ধার করা হতে পারে বলে মনে করছেন পুলিশ এবং গোয়েন্দা আধিকারিকরা।

'ট্রাভেল উইথ জো' নামে যে ইউটিউব চ্যানেলটি জ্যোতি চালাত, সেখানেই পাকিস্তানের একাধিক তথ্য রয়েছে। নিজের ট্রাভেল ভ্লগ শেয়ার করতে গিয়েই জ্যোতি পাকিস্তানের বিভিন্ন তথ্য নিজের ভিডিয়োতে তুলে ধরত। সেই সঙ্গে ডায়রিতেও পাকিস্তান সম্পর্কে নানা তথ্য তাকে শেয়ার করতে দেখা যায়। ফলে ওই ডায়রি থেকে জ্যোতির সঙ্গে কাদের যোগ ছিল, সে বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য হাতে আসতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: After Pahalgam Attack, Jyoti Malhotra Post Video: পহেলগামে হামলার পর জ্যোতির নয়া ভিডিয়ো, 'ভারতের নিরাপত্তায় গলদ', দাবি পাক চর ইউটিউবারের

জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সময় জ্যোতি মালহোত্রা নিজের সঙ্গে ডায়রি সঙ্গে রাখত। সেখানেই লেখা থাকত, তাঁর ভ্রমণের সমস্ত অভিজ্ঞতা। পাকিস্তানে ১০ দিন কাটিয়ে জ্যোতি ভারতে ফিরে আসে। ভারতে ফেরার পর নিজের অভিজ্ঞতা ডায়রিতে লিখতে দেখা যায় জ্যোতিকে। যেখান তাকে লিখতে দেখা যায়, 'ভারত, পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে। তবে ভারত, পাকিস্তানের মানুষ প্রত্যেকে একই মাটির মানুষ।'

প্রসঙ্গত জ্যোতি মালহোত্রার সঙ্গে আর কার কার যোগ রয়েছে, সে বিষয়ে গোয়েন্দারা খোঁজ শুরু করেছেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জ্যোতি পুরীতে যায়। সেখানে প্রিয়াঙ্কা সেনাপতি নামে আরও এক ভ্লগারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ফলে প্রিয়াঙ্কা সেনাপতির সঙ্গে জ্যোতির কীসের যোগ, সে বিষয়ে পুলিশ এবং গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন বলে খবর।

পুরীর পুলিশ আধিকারিক জানান, প্রিয়াঙ্কা সেনাপতি বর্তমানে তাঁর বাড়িতে রয়েছেন। তাঁর উপর নজরদারি চলছে। প্রয়োজন পড়লে প্রিয়াঙ্কা সেনাপতিকে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান বিনীত আগরওয়াল নামের ওই পুলিশ আধিকারিক।