নতুন দিল্লি, ৭ জানুয়ারি: জেএনইউ (JNU) তাঁকে বহুত্ববাদ শিখিয়েছে, শিখিয়েছে জাতপাতের চেতনা। নোবেল (Nobel) জয়ের পর নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিচারণায় এমনটাই জানিয়েছিলেন নোবেলজয়ী বাঙালি অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর সেই বিশ্ববিদ্যালয়ই রক্তাক্ত। ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়া-অধ্যাপিকাদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার মত নক্কারজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে সেখানে। যা দেখে স্তম্ভিত তিনি। রবিবারের ঘটনা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ অভিজিৎ স্পষ্টতই বললেন, 'যা পরিস্থিতি তাতে দেখে মনে হচ্ছে ভারত এখন নাৎসি জার্মানি হওয়ার পথে এগোচ্ছে!' তাছাড়া জাতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ দাবি তোলেন, নরেন্দ্র মোদি সরকারের উচিৎ সত্য সামনে আনা। 'জেএনইউ-তে কী হয়েছিল জবাব দিতে হবে মোদি সরকারকে।'
সেইসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, 'আমার মনে হয় গোটা বিশ্বের সামনে ভারতের ভাবমূর্তি নিয়ে ভাবার সময় এসে গিয়েছে। আমরা যেন জার্মানির নাৎসি জমানায় প্রতিধ্বনি শুনতে পারছি ভারতে বসে।' রবিবারের হামলায় আহত প্রত্যেকের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন নোবেলজয়ী। ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুযায়ী তাঁর কথায়, 'এত বড় একটি ঘটনা। সমস্ত তথ্য সামনে আনা উচিৎ সরকারের।' উল্লেখ্য, নোবেল জয়ের আগে থেকেই ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে নিজের হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন অভিজিৎ (Abhijit Vinayak Banerjee)। কংগ্রেসের ন্যায়-প্রকল্পকে তিনি সমর্থন করেছেন বলে তাঁর সমালোচনায় মুখর হয়েছিল বিজেপি। এমনকী তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নোংরা আক্রমণেও নেমেছিলেন এরাজ্যের বিজেপি নেতারা (BJP Leaders)। তবে নোবেল জয়ের পর দেশে ফিরে অবশ্য নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। আরও পড়ুন: JNUSU President Aishe Ghosh: ‘আমাকে খুনের জন্য পরিকল্পিত হামলা, তবে দমে যাইনি’ মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েই ঐশীর সাংবাদিক সম্মেলন
তারপরও ভারতীয় অর্থনীতির (Economy) হতাশাজনক দিক নিয়ে আলোকপাত করেছেন। তবে জেএনইউকাণ্ডে যেভাবে প্রবল ক্ষোভ যে আবার অভিজিৎকে নিশানা (Target) বানাবে, সেই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে।