নতুন দিল্লি, ৬ জানুয়ারি: বরাবরই গেরুয়া বাহিনীর 'টার্গেটে' থাকে জেএনইউ (JNU)। এবারের অভিযোগ আরও মারাত্মক। জেএনইউ-এর বাম ছাত্র সংসদের অভিযোগ, এবিভিপি-র গুন্ডারা লোহার রড নিয়ে তাণ্ডব চালায় বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঘটনায় মাথা ফেটেছে ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষের (Aishe Ghosh)। ছাত্র সংসদের সভাপতি ছাড়াও গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ২০ জন ছাত্রছাত্রী। খবর জানাজানি হতেই, রবিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। পুলিশের বিরুদ্ধে জেএনইউ কাণ্ডে চূড়ান্ত অপদার্থতা, নীরব থাকার অভিযোগ উঠেছে। তাই দিল্লি পুলিশের দায়িত্ব যেহেতু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে, তাই ঘটনার তদন্ত করতে পুলিশের বড় কর্তা নিয়োগ করা হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। গতকাল রাতেই এমন নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেই জানা গিয়েছে।
ঘটনার রাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) পদত্যাগ দাবি করেছে আম আদমি পার্টি। তাই অনেকাংশেই রব উঠছে দেশজোড়া চাপের মুখেই পুলিশের উচ্চকর্তা নিয়োগ করে জেএনইউ কাণ্ডের রিপোর্ট তলব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্রে খবর, এই গোটা ঘটনার তদন্ত করবে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। যার নেতৃত্বে থাকছেন দিল্লি পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ওয়েস্টার্ন রেঞ্জ) শালিনী সিং। তিনিই গোটা ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট জমা দেবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দফতরে। এই বিষয়ে গতকাল রাতেই অমিত শাহের কথা হয় দিল্লি পুলিশের কমিশনার অমূল্য পটনায়িকের সঙ্গে। জেএনইউ-র ভিতরে ঢুকে নিশানা করা হয় ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিদের। রীতিমতো লোহার রড দিয়ে মারা হয় পড়ুয়াদের। বাদ যাননি ছাত্র সংসদের সভাপতি, বাংলার মেয়ে ঐশী ঘোষও। তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে যায় তাঁর। হামলায় সুচরিতা সেন নামে এক অধ্যাপিকা গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ঐশীকে ভর্তি করা হয়েছে এইমসের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আরও পড়ুন: Mamata Banerjee Reacts On JNU Violence: জেএনইউ-কাণ্ডে সাংসদদের দিল্লি পাঠাচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি
ঘটনার দিন রাতেই ট্যুইট করে মমতা (Mamata Banerjee) লেখেন, 'জেএনইউতে পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের ওপরে বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করছি। এমন ঘৃণ্য ঘটনা ব্যখ্যা করার মতো ভাষা নেই। এটা আমাদের গণতন্ত্রের লজ্জা। জেএনইউ-র প্রতি সংহতি জানাতে দীনেশ ত্রিবেদীর (Dinesh Trivedi) নেতৃত্বে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লি যাচ্ছে।' তৃণমূলের এই প্রতিনিধি দলে দীনেশ ছাড়াও থাকবেন সাজদা আহমেদ, মানষ ভুঁইঞা এবং বিবেক গুপ্তারা।