বিজেপির রঘুবর দাস এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন (Photo Credit: Facebook)

দুমকা, ২৩ ডিসেম্বর: ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা (Jharkhand Assembly Elections Results) প্রায় শেষের দিকে। নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতার পথে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির জোট। তবে আর কয়েক ঘন্টা গেলে ছবিটা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। সবার নজর এই মুহুর্তে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কার্যকরী সভাপতি হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) দিকে। কারণ বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, বেশিরভাগ মানুষের পছন্দ তাঁকেই। এএনআইইয়ের খবর অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যের দুমকা জেলা থেকে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। বেলা ১টা পর্যন্ত তিনি এগিয়ে রয়েছেন ২৪৬৩ ভোটে। এছাড়া বারহাইত থেকে তিনি এগিয়ে রয়েছেন ৮৬১৬ ভোটে বলেই খবর।

এর আগেও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন হেমন্ত সোরেন। সকালে ইভিএম খোলার পর থেকেই লড়াই জমেছে জেএমএম (JMM) জোট আর বিজেপির মধ্যে। কোনও সময় জোট এগিয়ে যাচ্ছে তো, কোনও সময় বিজেপি। তবে একটা সময় জোট অনেকটা ব্যবধানে এগিয়ে যায়। সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী, বিজেপি একক গরিষ্ঠ হলেও নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতার একেবারে কাছে জেএমএম জোট। ২০১৪ সালে দুমকায় জিতেছিলেন বিজেপির লুইস মারান্ডি। হেমন্ত সোরেনকে তিনি হারিয়েছিলেন প্রায় ৫ হাজার ভোটে। এদিকে, ২০০৯ সালে ভোটে দুমকা থেকেই জিতেছিলেন হেমন্ত সোরেন। ২০১৪ সালে হেমন্ত সোরেন দুটি আসন থেকে লড়েন। দুমকায় পরাজিত হলেও, বারহাইত আসন থেকে জয়ী হয়ে বিধানসভায় যান সোরেন। এবার দেখা যাক ২০১৯ তাঁর মানুষ তাঁর ভাগ্যে কী লিখে দেন। আরও পড়ুন: Jharkhand Assembly Election Results 2019: ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে এগিয়ে জেএমএম, পিছিয়ে বিজেপি, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জেতার সম্ভাবনা ত্রিশঙ্কু দলের

প্রাথমিকভাবে ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী বিজেপির (BJP) রঘুবর দাস (Raghubar Das) এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে বটে, তবে রাজ্যে ত্ৰিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপি-জেএমএমের সাপলুডোর খেলায় ওঠানামা লেগেই রয়েছে। সোমবার সকালে বিজেপি বেশ কিছুটা পিছিয়েই ছিল। এগিয়ে ছিল জেমএমএম। এই মুহূর্তে ভোটগণনার ফল দাঁড়িয়েছে এই রকম- জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট ৪০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি ৩১টিতে এগিয়ে। আজসু এবং জেভিএম ৩টি করে আসনে এগিয়ে।