Tabrez Ansari Lynching Case: তবরেজ আনসারি গণপিটুনি মামলায় ৬ অভিযুক্তকে জামিন দিল ঝাড়খণ্ডের আদালত
এই সেই নারকীয় দৃশ্য(Photo Credit: Md Asif Khan‏‎‎‎‎‎‎'s Twitter handle)

রাঁচি, ১১ ডিসেম্বর: তবরেজ আনসারি লিঞ্চিং মামলায় (Tabrez Ansari Lynching Case) ছয় অভিযুক্তকে জামিন দিল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট (Jharkhand High Court)। মঙ্গলবার বিচারপতি আর মুখোপাধ্যায় এই ছয় জনের জামিন মঞ্জুর করেন। যখন তিনি অভিযুক্তদের আইনজীবী একে সাহানির বক্তব্যে জানতে পারেন যে এই ছয় জনের নাম তবরেজ আনসারি (Tabrez Ansari) লিঞ্চিং মামলার যে এফআইআর দায়ের হয়েছিল তাতে নেই। শুধু তাই নয় এই লিঞ্চিং মামলার মূল অভিযুক্ত পাপ্পু মণ্ডলও পুলিশি জেরার সময় এই ছয় জনের নাম করেনি। তাই তবরেজ আনসারি গণপিটুনির মামলায় অভিযুক্তরা মঙ্গলবার হাইকোর্টে জামিন পেল। মোট ১৩ অভিযুক্তের মধ্যে ছয় জনেরই জামিন আর্জি মঞ্জুর করেছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। এমনটাই জানিয়েছেন তবরেজের পরিবারের আইনজীবী এ আলম।

উল্লেখ্য, এই মামলার এফআইআরে অভিযুক্তদের সরাসরি নামের উল্লেখ না-থাকার কারণেই হাইকোর্টে জামিন পেতে কোনও সমস্যা হয়নি। এরা হল ভীমসেন মণ্ডল, চামু নায়ক, মহেশ মাহালি, সত্যনারায়ণ নায়ক, মদন নায়ক এবং বিক্রম মণ্ডল। চলতি বছরের ২৫ জুন থেকেই তবরেজ আনসারি গণপিটুনি মামলায় জেলে ছিল এরা। এদিন এই মামলার সাক্ষীরাও (পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া বয়ানে, একজন অভিযুক্তেরও নাম উল্লেখ করেননি। তার সুবিধা পেয়েছে গণপিটুনিতে অভিযুক্তরা। বিপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করলেও, তা ধোপে টেকেনি। তবরেজের পরিবারের হয়ে যিনি লড়ছেন, সেই আইনজীবী জানিয়েছেন, টেকনিক্যাল পয়েন্টেই হাইকোর্টে অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। আরও পড়ুন-Delhi High Court: ফেসবুক টুইটারের সঙ্গে আধার-প্যান লিংকে সায় নেই, জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট

১৩ অভিযুক্তের মধ্যে ১২ জন জামিনের অর্জি জানিয়েছিল। এর মধ্যে ১০ ডিসেম্বর ৫ জনের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর জামিন পেয়েছে আরও একজন। আরও ৫ জনের জামিন আর্জি আদালতে পেন্ডিং রয়েছে। অভিযুক্তরা হাইকোর্টে জামিন পাওয়ায়, ক্ষুব্ধ তবরেজ আনসারির স্ত্রী শাহিস্তা। তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, তবরেজকে পেটানোর ভিডিওটি কি মিথ্যে ছিল? ঘটনার প্রমাণ স্বরূপ এর থেকে বেশি কী দরকার? প্রথমে ওরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা প্রত্যাহার করে নিল। এর পর জামিনও পেয়ে গেল। এটা কী হচ্ছে! একরাশ হতাশা ঝরে পড়ে শাহিস্তার কথায়। গত ১৭ জুন তবরেজ আনসারিকে চুরির অভিযোগে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে, জয় শ্রীরাম, জয় হনুমান বলতে বাধ্য করা হয়। সাত ঘণ্টা ধরে তাঁর উপর চলে অকথ্য নির্যাতন। ঘটনার পাঁচ দিন পর, ২২ জুন পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন তবরেজের মৃত্যু হয়। ছয় অভিযুক্তের এমন আচমকা জামিনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে যাবে তবরেজের পরিবার।