রাঁচি, ১ ফেব্রুয়ারি: বুধবার হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) গ্রেফতারির পর বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন-সহ অন্য বিধায়করা। রাজ্যপাল যাতে শিগগিরই নয়া মুখ্যমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠান এবং নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করার অনুমতি দেন, সে বিষয়ে আবেদন জানানো হয়। এরপরই চম্পাই সোরেন-সহ জেএমএম বিধায়কদের আশ্বস্ত করেন রাজ্যপাল। শিগগিরই ঝাড়খণ্ডে নয়া সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে রাজ্যপাল আশ্বস্ত করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝাড়খণ্ডের রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এমনই জানান ঝাড়খণ্ডের বিধান পরিষদের নেতা তথা সে রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন।
দেখুন ট্যুইট...
Leader of JMM legislative party, Champai Soren says "We have demanded from the Governor that the process to start the formation of the new Government should begin. The Governor has also assured us that the process will begin soon. Currently we have submitted the report with 43… pic.twitter.com/kAG3BOqgeP
— ANI (@ANI) February 1, 2024
বৃহস্পতিবার প্রায় গোটা দিনভর হেমন্ত সোরেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। হেমন্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির হেফাজতে থেকে হেমন্ত সোরেন এরপর রাজভাবনে গিয়ে রাজ্যপালের হাতে নিজের ইস্তফা পত্র তুলে দেন।
আরও পড়ুন: Hemant Soren: 'নির্বাচনে জয় পেতেই বিরোধীদের জেলে ভরছে বিজেপি', হেমন্তের গ্রেফতারিতে তোপ মমতার
হেমন্ত সোরেন ইস্তফা দেওয়ার পর উঠে আসে জেএমএম নেতা চম্পাইয়ের নাম। জেএমএমের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ফলে ঝাড়খণ্ডে ফের নতুন সরকার গঠনে তাদের কোনও সমস্যা হবে না বলে জানানো হয় জেএমএমের তরফে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে যায়।
অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারি বলে বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হয়। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেস কিংবা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, বিরোধীরা হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারিকে হেনস্থা এবং বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেন।