নতুন দিল্লি, ২০ ডিসেম্বর: শুক্রবার সন্ধেয় ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের (Jharkhand Assembly Elections 2019) এক্সিট পোল (Exit Poll) প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। ২৩ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ড বিধানসভার ফল প্রকাশ। এই এক্সিট পোল থেকে একটা ধারনা তৈরি করা যেতে পারে যে কে মসনদে বসছে ঝাড়খণ্ডের। ২৩ তারিখ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। আমরা এই প্রতিবেদনে দেখে নেব কোন সংবাদমাধ্যমের এক্সিট পোল ঠিক কী বলছে। কে বসতে পারে মসনদে।
আজ তক-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া-র সমীক্ষা অনুসারে, কংগ্রেস(Congress) -জেএমএম (JMM)-আরজেডি (RJD) জোট ৩৮-৫০ আসনে জয় পেতে পারে। যা মোট ভোটের ৩৭ শতাংশ। অন্যদিকে বিজেপি (BJP) ২৩-৩২টি বিধানসভা আসনে জয় পেতে পারে। যা মোট ভোটের ৩৪ শতাংশ ভোট। আরও পড়ুন: CAA Protests In Uttar Pradesh: CAA-র বিরোধিতায় বিক্ষোভ, হিংসা; উত্তরপ্রদেশে মৃত ৫
এবিপি নিউজ-সি ভোটার-র সমীক্ষা অনুসারে, কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোট ৮১টি আসনের মধ্যে ৩১-৩৯ (৩৫)টি আসনে জয় পেতে চলেছে। যা সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনের থেকে ৬টি কম। অন্যদিকে বিজেপি ২৮-৩৬ (৩২) আসনে ঝুলিতে পুরতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে এজেএসইউ (AJSU) ৩-৭টি (৫) আসনে জিততে পারে। এবং জেভিএম (JVM) ১-৪টি আসনে জয়ী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
টাইমস নাউ-র এক্সিট পোল বিরোধী জোটের পক্ষে সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। জেএমএম (JMM) পেতে পারে ২৩টি আসন, কংগ্রেস ১৬টি এবং আরজেডি ৫টি আসতে জয় পেতে পারে। এর ফলে জোটের আসন সংখ্যা পৌঁছে যাচ্ছে ৪৪-এ। যা মোট আসনের অর্ধেকের ২টি বেশি। অন্যদিকে বিজেপি ২৮টি আসন ধরে রাখতে পারবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আর জেভিএম (পি) ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে জয় পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী লড়াই মূলত কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD) এবং ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) মধ্যে সীমাবদ্ধ। ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এজেএসইউ) পার্টি এবং ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (প্রজাতন্ত্রিক) নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে নির্বাচনের আগে ওপিনিয়ন পোল পূর্বাভাস দিয়েছিল।
৩০ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর, মোট পাঁচদফায় ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানাতে ধাক্কা খেয়েছে। তার প্রায় একমাস পর এই নির্বাচন তাদের কাছে কঠিন লড়াই ছিল। ঝাড়খণ্ডে বিরোধী দলগুলির প্রচারে হাতিয়ার ছিল অর্থনৈতিক মন্দা, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং ক্রমবর্ধমান মুল্যবৃদ্ধি। যেখানে বিজেপির প্রচারের হাতিয়ার ছিল জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার, অযোধ্যাতে রাম মন্দির নির্মাণ।