Vlogger Jasmin Jaffer (Photo Credit: X/Screengrab)

হায়দরাবাদ, ২৬ অগাস্ট: কেরলের গুরুভায়ুর মন্দির নিয়ে শুরু হল জোর বিতর্ক  (Guruvayur Shri Krishna Temple)। গুরুভায়ুর মন্দিরে জেফর জ্যাসমিন  (Jasmin Jaffer) নামের এক ভ্লগার হাজির হয়ে কিছু রিলস ভিডিয়ো শ্যুট করেন। যেখানে গুরুভায়ুর মন্দিরে থাকা একটি পুকুরে নিজের পা ডুবিয়ে ভিডিয়ো শুট করেন জ্যাসমিন। যা প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে হুলুস্থূল শুরু হয়।

জেফর জ্যাসমিন  কেন পুকুরে পা ডুবিয়ে ভিডিয়ো শ্যুট করলেন, তার জন্য হল 'শুদ্ধিকরণ'। জ্যাসমিন জেফর গুরুভায়ুর মন্দিরে যাওয়ায়, সেখানে শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠিত হয়। যা প্রকাশ্যে আসার পর তা ভাইরাল হয়ে  যায় হু হু করে। গুরুভায়ুর মন্দির কমিটির তরফে ওই শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়।

গুরুভায়ুর মন্দিরে জেফর জ্যাসমিনের রিলসের ভিডিয়ো ভাইরাল হলে, বিতর্কের জেরে ওই ভ্লগারকে দেখা যায়, নিজের পোস্ট ডিলিট করে দিতে। শুধু তাই নয়, জেফর জ্যাসমিনকে দেখা যায়, ক্ষমাও চেয়ে নিতে।

দেখুন জেফর জ্যাসমিনের সেই পোস্ট...

 

৬ দিনের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া

গুরুভায়ুর মন্দিরের পুকুরে জ্যাসমিন পা ডোবানোর জন্য, ৬ দিনের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে জানানো হয়। ওই ৬ দিনের মধ্যে ১৮বার পুজো হবে বলে জানা যাচ্ছে।

জানা যায়, ওই মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণকে স্নান করানো হয়। যার জল অত্যন্ত পবিত্র। আর সেই পবিত্র জলের পুকুরে ছবি তোলা থেকে ভিডিয়ো শ্য়ুট, সমস্ত কিছু বন্ধ বলে জানা যায়। ওই পুকুরে যদি ছবি তোলা বা ভিডিয়ো শ্যুট বন্ধ হয়,তাহলে ওই ভ্লগার কীভাবে ভিডিয়ো রেকর্ড করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।

জেফরের নামে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মন্দিরের  নিয়ম ভেঙেছেন জেফর, এমন অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়।

জ্যাসমিন জেফর ক্ষমা চেয়ে নেন 

গুরুভায়ুর মন্দিরের ঘটনা নিয়ে জোরদার সমালোচনা শুরু হলে, শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে নেন জ্যাসমিন জেফর নামের ওই ভ্লগার। তিনি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও ধর্ম বা ভাবাবেগকে তিনি আঘাত করতে চাননি। ভুলবশত যদি কিথু করে থাকেন, তার জন্য প্রত্যেকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন বলে জানান জেফর।

গুরুভায়ুর মন্দিরের আরাধ্য দেবতা 

গুরুভায়ুর মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণের পুজো হয়। শ্রীকৃষ্ণই এখানকার আরাধ্য দেবতা। এই মন্দিরকে দক্ষিণের দ্বারকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। শ্রীকৃষ্ণকে দর্শন করতে তাই প্রত্যেক বছর কয়েক লক্ষ মানুষ গুরুভায়ুর মন্দিরে যান।

তাই গুরুভায়ুর মন্দিরের এই পুকুরের সঙ্গে বহু মানুষের ধার্মীয় ভাবাবেগ জড়িয়ে রয়েছে বলে জানানো হয় মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে।