শ্রীনগর, ২০ অক্টোবর: অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন ( Violates Ceasefire) করে নিয়ন্ত্রণরেখায় (LOC) ব্যাপক গোলাবর্ষণ করল পাকিস্তান (Pakistan) সেনা। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কুপওয়ারা জেলার তাংধর (Tangdhar) সেক্টরে রবিবার ভোররাত থেকে পাকিস্তানের গোলাগুলিতে শহিদ দুই সেনা জওয়ান ও একজন সাধারণ নাগরিক। আহত আরও তিন জওয়ান ও ৫ গ্রামবাসী। পাকিস্তানের ছোড়া গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ৬টি বাড়ি। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে তারা। তাংধর সেক্টরের উল্টোদিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরেই গজিয়ে উঠেছিল ওইসব ঘাঁটি। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ভারতীয় সেনার গুলিতে নিকেশ হয়েছে কমপক্ষে ১০-১৫ জঙ্গি। তবে এখনও পর্যন্ত সেনার পক্ষ থেকে এনিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
ভারতীয় সেনা (Indian Army) এক বিবৃতিতে বলেছে, "আজ তাংধর সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালালে দু'জন ভারতীয় সেনা ও একজন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। পরে ভারতীয় সেনা পালটা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। তাতে পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।" জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের তীব্র গোলাবর্ষণের কারণে কাঠুয়া জেলার হিরানগর সেক্টরের ময়নারি গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের ভারী গোলাবর্ষণে একটি চালের গোডাউন, দুটি গাড়ি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গবাদি পশুদের রাখার জায়গাও। একটি গোশালা ধ্বংস হয়ে যায়। ওই গোশালায় ১৯টি গোরু ও একাধিক ভেড়ার মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চিত্রকূট গ্রামে। পাক গোলায় কয়েকটি বাড়ি কার্যত ধুলিসাৎ হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে মোট ক্ষতিগ্রস্ত ৬ টি বাড়ি। আরও পড়ুন: করতারপুর করিডরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাকিস্তান আসবেন মনমোহন সিং, দাবি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির
ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত এলাকাবাসী। স্থানীয়রা বলে, "আমরা ভাগ্যবান যে বাচ্চারা ভিতরে ঘুমোচ্ছিল না। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। পাকিস্তানের গুলির কারণে আমরা ইতিমধ্যেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।" সংবাদসংস্থা ANI জানিয়েছে, পাকিস্তান সেনা ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশে করানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল। সেই কারণে তারা নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাবর্ষণ শুরু করে। সেই সময় দুই ভারতীয় সেনা শহিদ হন।