নতুন দিল্লি, ১৮ জুন: দেশকে আত্মনির্ভর হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার এই প্রক্রিয়ার প্রথম ও অন্যতম পদক্ষেপ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের ৪১টি কয়লা খনির নিলাম (Coal Mine Auction) প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল তাঁর হাত ধরে। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, এই মুহূর্তে মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। এই লকডাউনে মানুষের আর্থিক দুর্গতি দূর করতেই এই পদক্ষেপ। বৃহস্পতিবার মোদি বলেন, “কয়লা খনির নিলাম শুরু হওয়াটা সব স্টেক হোল্ডারের কাছেই জয়ের পরিস্থিতি। দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনে থাকার পর তার থেকে বেরিয়ে এসেছে কয়লাক্ষেত্র। এখন কয়লার জন্য বাজার খুলে গেল। এতে অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিরও সুবিধে হবে।”
এই প্রসঙ্গে গত বছর কেন্দ্রীয় কয়লা সচিব সুমন্ত চৌধুরী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র ৪৬টি কয়লা খনি নিলাম ও বণ্টন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে ৪২টির প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ৪৬টি খনির মধ্যে ৩০টি নিলামের মাধ্যমে বেসরকারি ক্ষেত্রকে এবং ১৬টি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন সংস্থাকে চলতি বছরের মধ্যেই বণ্টন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কয়লা মন্ত্রক। এই ৪৬টি খনি যারা পাবে তারা উৎপাদিত কয়লার নিজেদের কাজে অথবা নির্ধারিত প্রয়োজনে ব্যবহারের পর ২৫ শতাংশ যে কোনও দামে বাজারে বিক্রি করতে পারবে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়। আরও পড়ুন-BJP Govt In Manipur: ৩ বিধায়কের দলত্যাগ, ৪ মন্ত্রীর ইস্তফায় মণিপুরে অস্তিত্ব সংকটে বিজেপি
India will turn this COVID19 crisis into an opportunity. It has taught India to be self-reliant. India to reduce its dependence on imports: Prime Minister Narendra Modi addresses at the launch of auction of 41 coal mines for commercial mining pic.twitter.com/R3Kt1yyCiu
— ANI (@ANI) June 18, 2020
প্রধানমন্ত্রীর মতে, “বিষয়টি কয়লাকে নিয়ে হলেও স্বপ্নটা হিরে নিয়ে দেখতে হবে।” কেন্দ্রীয় সরকার কয়লাখনি গুলির (Coal Mine) বৈদ্যুতিন নিলাম শুরু করেছে। এই নিলাম হবে দুটি ধাপে। খনির নিলাম শুরুর মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শিল্পগুলি এখন নতুন উপাদান খুঁজে পাবে এবং তাঁদের ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য নতুন বাজারও পাবে তারা। কয়লাখনির বেসরকারিকরণে উত্পাদন বাড়ার পাশাপাশি প্রতিযোগিতার বাজারও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহেই কয়লাখনির সম্পূর্ণ বেসরকারিকরণের খবর নিশ্চিত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। খনি ও শক্তিক্ষেত্রের বিনিয়োগকারীদের সুযোগ দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করা যাবে বলে আশাপ্রকাশ করা হয়।