
তেহরান, ১৭ সেপ্টেম্বর: নীতি পুলিশের অমানবিক অত্যাচারে কোমায় যাওয়ার পর মারা গেলেন ইরানের ২২ বছরের এক মহিলা। অভিযোগ, ছোট পোশাক পরায় তেহরান থেকে ২২ বছরের মহসা আমিনি (Mahsa Amini)- কে ধরেছিল পুলিশের বিশেষ ইউনিট। সে তখন তাঁর আত্মীয়র বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল। নীতি পুলিশের ইউনিট মহসাকে সেখান থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপরই তার হার্ট অ্যাটাক হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মহসাকে। এরপর কোমায় চলে যাওয়ার পর মারা যায়।
মহিলাদের পোশাক থেকে আচরণ ঠিক করার জন্য বেশ কয়েক মাস ধরেই সক্রিয় হয়েছে ইরান পুলিশের বিশেষ ইউনিট। মানবাধিকার কমিশনের অভিযোগ, সেই ইউনিটের সদস্যরা তেহরানে মহসাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। তার ভাই পুলিশকে বাধা দিলে তারা তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। শিক্ষিত করার জন্য তাকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হচ্চে বলে মহসা-র ভাইকে জানায় পুলিশ। এরপর এক ঘণ্টা টানা জেরার পর মহসাকে যখন ছাড়া হয়, তখন তাকে সে অচৈতন্য অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই তার হার্ট অ্যাটাক হয়। আরও পড়ুন-ইন্দোনেশিয়ার সোনার খনিতে ধস, ২০ জন শ্রমিকের মৃত্যু
দেখুন ভিডিও
Do you really want to know how Iranian morality police killed Mahsa Amini 22 year old woman? Watch this video and do not allow anyone to normalize compulsory hijab and morality police.
The Handmaid's Tale by @MargaretAtwood is not a fiction for us Iranian women. It’s a reality. pic.twitter.com/qRcY0KsnDk
— Masih Alinejad 🏳️ (@AlinejadMasih) September 16, 2022
ইরানের মানবাধিকার কমিশনের অভিযোগ, শুধু জেরা নয়, মহসাকে শারীরিক দিক থেকে নির্যাতনের পরই তার বড় মাপের হার্ট অ্যাটাক হয়। ইরানের সোশ্য়াল মিডিয়ায় মহসার মৃত্যু,বিচার নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। চাপের মুখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই কাণ্ডে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।