
ইন্দোর, ১০ জুন: মুখ খুললেন রাজা রঘুবংশীর (Raja Raghuwanshi) বোন। 'সোনমের যদি না থাকার ইচ্ছে ছিল আমার ভাইয়ের সঙ্গে, তাহলে চলে যেতে পারত। পালিয়ে যেতে পারত। ওঁকে মারল কেন? কারও ছেলে, ভাইকে মারার কোনও দরকার ছিল না সোনমের। আমার ভাই তো ওঁর কোনও ক্ষতি করেনি। তাই মারল কেন।' প্রশ্ন তুললেন রাজা রঘুবংশীর বোন। গত ২ জুন রাজা রঘুবংশীর দেহ উদ্ধার করা হয় মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির জঙ্গলের কাছ থেকে। হিরের ব্রেসেলেট দেখে রাজা রঘুবংশীকে সনাক্ত করে পুলিশ।
রাজার দেহ মিললেও সোনমের কোনও খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশ। তখন থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। সোনম কোথা গেল, তা নিয়ে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়। অবশেষে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজ়িপুরে (Gazipur) সোনমের (Sonam Raghuwanshi) খোঁজ মেলে। গাজ়িপুরের একটি ধাবা থেকে সোনম বাড়িতে ফোন করে এবং দাদার সঙ্গে কথা বলে। এরপর ধাবার মালিককে ফোন করে সোনমের দাদা নিজের বোনের ঠিকানা স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দিতে বলে।
শুনুন কী বললেন রাজা রঘুবংশীর বোন....
यह बात सिर्फ राजा रघुवंशी की बहन नहीं बल्कि पूरा देश का रहा है
अगर सोनम रघुवंशी को राजा रघुवंशी के साथ नहीं रहा था तो जो लड़का पसंद था उसके साथ चली जाती है#SonamRaghuvanshi #rajaraghuvanshi #IndoreCouple pic.twitter.com/818Q2LeoFf
— Bhanu Nand (@BhanuNand) June 9, 2025
সোনমের দাদার কথাতেই গাজ়িপুরের ধাবার মালিক স্থানীয় থানায় খবর দেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সোনম রঘুবংশীকে গ্রেফতার করে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কথায়, গ্রেফতারির পর সোনম স্বীকার করেছে, সে রাজা রঘুবংশীকে খুনের জন্য গুন্ডা ভাড়া করেছিল। ফলে সোনমই যে স্বামীহন্তা, তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
এসবের পাশাপাশি ইন্দোরের তরুণী (Indore Couple) সোনম রঘুবংশীর ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। যেখানে থেকে জানা যয়া, সোনম এবং রাজ কুশওয়ার মধ্যে সম্পর্ক ছিল। তাই বিয়ের পর রাজা রঘুবংশীকে নিজের কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছিল না সোনম। সেই কথাও সে প্রেমিক রাজ কুশওয়াকে (Raj Kushwaha) জানায়। যা জানার পর পুলিশের সন্দেহ কার্যত বিশ্বাসে পরিণত হয় বলে মনে করা হচ্ছে।