Anti-CAA Resolution: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন একসঙ্গে অনেককে দেশহীন করবে, মোদি সরকারের ভূমিকায় চিন্তাগ্রস্ত ইওরোপীয় ইউনিয়ন
সদিল্লিতে সিএএ বিরোধিতা (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ২৭ জানুয়ারি:  সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) জেরে বিশ্বের সবথেকে বেশি মানুষ দেশহীন হতে চলেছে। একথায় সিএএ প্রশ্নে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ইওরোপীয় ইউনিয়ন (European Union)। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ ও সিএএ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই ইওরোপিয়ান ইউনিয়ন সংসদের ৭৫১ জন সদস্যের মধ্যে ৬০০ জন সদস্য ছ’টি রেজোলিউশন গ্রহণ করেছেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রয়েছেন ইওরোপীয় ইউনিয়নের ১৫৪ সদস্য বিশিষ্ট প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স অফ সোশ্যালিস্ট অ্যান্ড ডেমোক্র্যাক্টস, ১৮২ সদস্য বিশিষ্ট ইওরোপিয়ান পিপলস ডেমোক্র্যাক্টস (ক্রিশ্চান ডেমোক্র্যাটস), ৪১ সদস্যের ইউরোপিয়ান ইউনাইটেড লেফট ও নর্ডিক গ্রিন লেফ্ট, ৭৫ সদস্যের গ্রিনস/ইওরোপিয়ান ফ্রি অ্যালায়েন্স এবং ১০৮ সদস্যের রিনিউ ইউরোপ গ্রুপ। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে গত বছর অক্টোবর মাসে বিজেপি সরকার যে অবস্থান গ্রহণ করেছিল তার বিরুদ্ধেও একইভাবে সরব হয়েছিল ইওরোপীয় ইউনিয়ন।

উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীর এবং সিএএ ইস্যুর পরে গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে ভারতকে ১০ ধাপ নিচে নামিয়ে দিয়েছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট। ইওরোপিয়ান পিপলস পার্টির আশঙ্কা হল, “সিএএ এবং তার পরবর্তীতে যে বিপুল বিরোধিতা দেখা গেছে তার প্রভাব পড়তে পারে ভারতের অভ্যন্তরীণ ভাবমূর্তি ও স্থিতাবস্থার উপরে।” সরকার অবশ্য এই বিষয়টিকে পুরোপুরি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই অবস্থান গ্রহণ করে আসছে। সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে এমন কোনও পদক্ষেপ করা উচিত নয় যেখানে বিশ্বের অন্য কোনও প্রান্তে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত আইনসভার অধিকার ও কর্তৃত্বের উপরে প্রশ্নচিহ্ন পড়ে যায়। ইওরোপিয়ান ইউনিয়নের দক্ষিণপন্থীরা একে চমক বলে মনে করলেও অন্য রাজনৈতিক দলগুলি তা মনে করে না। এমনকী এমাসে ইওরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্যদের জম্মু-কাশ্মীরে সরেজমিন দেখার কথা থাকলেও তারা সেই সফরকে ‘গাইডেড ট্যুর’ বলে বাতিল করে দিয়েছে। আরও  পড়ুন-Chandrashekhar Azad Hits Out At KCR: 'মানুষের সাংবিধানিক অধিকারকে পিষে মারছে তেলেঙ্গানার সরকার', সাতসকালেই কেসিআর-কে তোপ চন্দ্রশেখর আজাদের

এদিকে এই রেজোলিউশনকে কেন্দ্র করে মার্চে ইওরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ভারতের বৈঠকের আগে অত্যন্ত নেতিবাচক কূটনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে চলেছে ভারত। এই বৈঠকে যোগ দিতে ব্রাসেলসে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তার আগে সদ্য চালু হওয়া  সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ এবং শক্ত হাতে কাশ্মীর পরিস্থিতি দমন করা নিয়ে অসন্তুষ্ট ইওরোপিয়ান ইউনিয়নের সংসদ।