নতুন দিল্লি, ২৪ আগস্ট: গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন (Coronavirus Cases In India) ৬১ হাজার ৪০৮। রবিবার সারাদিনে করোনার বলি ৮৩৬ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী সোমবার পর্যন্তে ভারতে মোট করোনা আক্রান্ত ৩১ লাখ ৬ হাজার ৩৪৯। মৃত্যু মিছিলে শামিল ৫৭ হাজার ৫৪২ জন। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে একটাই আশার খবর যে করোনাকে হারিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৩৬ জন। শুধুমাত্র গত ২৪ ঘণ্টাতেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭ হাজার ৪৬৮ জন। ১৭ থেকে ২৩ আগস্ট, গত সপ্তাহের এই সময়েই ভারতে সবথেকে বেশি কোভিড রোগীর সংক্রমণ বেড়েছে। একই সঙ্গে এই কয়েকদিনে মারণ রোগের মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। আরও পড়ুন- HD Kumaraswamy: হিন্দিরাজে বিভোর আয়ুষ সেক্রেটারি বৈদ্য রাজেশ কোটেচা, কড়া ব্যবস্থার দাবি জানালেন এইচডি কুমারস্বামী
ভারতে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৬১ হাজার ৪০৮ জন
India reported 61,408 new COVID-19 cases, 57,468 recoveries and 836 deaths in the last 24 hours. With this, the total COVID-19 tally rises to 31,06,349 including 23,38,036 cured/discharged/migrated cases & 57,542 deaths: Union Ministry of Health pic.twitter.com/jzYnnHjTzt
— ANI (@ANI) August 24, 2020
মৃত্যুর হার কমছে, এমন অবস্থার মধ্যেই গত সপ্তাহে করোনার বলি আশঙ্কাজনক ভাবেই অনেকটা বেশি। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সম্পর্কে সর্বশেষ আপডেট হল এই যে, কোভ্যাকসিন তার প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ একমাসেই সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। কোভ্যাকসিনের এই প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে ১৮-৫৫ বছর বয়সী স্বাস্থ্যবান ও সুস্থ ব্যযক্তিদের উপরে। যাঁদের কোনওরকম কঠিন রোগ নেই। দেশের ১২টি জায়গায় মানব শরীরে কোভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। অন্যদিকে জাইডোজ ক্যাডিলা একটি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন তৈরি করছে। যার নামকরণ করা হয়েছে জাইকো ভি-ডি। এই ডোজের প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। গত ১৫ জুলাই এই জাইকো ভি-ডি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে গত ৫ আগস্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরে করোনা সংক্রমণের বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। রয়টার্সের রিপোর্ট বলছে, গত ডিসেম্বরে চিনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ২১০টিরও বেশি দেশে থাবা বসিয়েছে এই মারণ ভাইরাস।