লকডাউন (Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ২৮ মে: আগামী ৩১ মে শেষ হচ্ছে লকডাউন ৪.০। দেশে যে হারে করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের  সংখ্যা বাড়ছে তাতে প্রশ্ন একটাই, লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ছে নাকি এখানেই শেষ? সরকারি সূত্রের মতে, আরও দু’সপ্তাহ বাড়তে পারে লকডাউন (Lockdown 5.0)। এই মুহূর্তে লকডাউন তুলে নেওয়ার পক্ষপাতী নন শীর্ষ কর্তারা। চতুর্থ দফার লকডাউনের শেষ দিনে অর্থা‌ৎ আগামী রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়টি নিয়ে ঘোষণা করলেও করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

সরকারি ভাবে এখনও কোনও ঘোষণা হয়নি। এরই মধ্যে দু' মাস লকডাউনে থমকে হাক অর্থনীতি চাঙ্গা করতে এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে কেন্দ্র লকডাউনে কিছু ছাড় দিয়েছে। দেশে প্রতিদিন ছ'হাজারের অধিক করোনাক্রান্ত হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যাটা ৬,৩৮৭, মৃত ১৭০ জন। সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপরও আঙ্গুল উঠেছে। আরও পড়ুন, করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র

সংক্রমণের অধিকাংশই মহারাষ্ট্র,তামিলনাড়ু, গুজরাত, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গে। সরগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মুম্বই, পুণে, হায়দরাবাদ, কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাইয়র মত শহরগুলি। গোটা রাজ্যের ৭০-৮০ শতাংশ সংক্রমণ হচ্ছে বড় শহরগুলিতেই। লকডাউন উঠলেও কেন্দ্রের শহরকেন্দ্রিক নজরদারি চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রেড জোনগুলিতে কতটা ছাড় দেওয়া হবে, তাও বড় প্রশ্ন।

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা ১ জুন থেকে ধর্মস্থান খুলে দেওয়ার আবেদন করেন।তবে অনেকেই এর বিরোধিতা করে জানান, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমাবেশ আরও এক মাস বন্ধ রাখা উচিত। শপিং মল, সিনেমা হল, হোটেল-রেস্তরাঁ আরও কিছু দিন বন্ধ থাকবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানজুন মাস পর্যন্ত বন্ধ থাকবে তা তো আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়।

লকডাউনের পরেও যে হারে সংক্রমণ বেড়েছে তা দেখার পর ফের মেয়াদ বাড়ানো কতটা কার্যকর হবে এই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বারবার। আবার অনেকের মতে, লকডাউনের ফলেই সংক্রমণের সংখ্যা আমেরিকার মত হয়ে যায়নি। ইতিমধ্যে হিমাচল প্রদেশ তাদের রাজ্যে ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে অন্য রাজ্যগুলি থেকে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছয়নি।