নতুন দিল্লি, ৫ অক্টোবর: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে শনিবার বৈঠক করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তাঁরা আজ ৩টি দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পের (bilateral project) উদ্বোধন করেন। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ থেকে এলপিজি (LPG) সরবরাহ, ঢাকায় রামকৃষ্ণ মিশনে বিবেকানন্দ ভবন ও বাংলাদেশ-ভারত স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট। দুই দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নের উপর জোর দিলেন দুই দেশের রাষ্ট্র প্রধান। বুন্ধত্বের হাত ধরেই সন্ত্রাসবাদ, সীমান্ত সমস্যার মতো গুরুতর বিষয়ে মোকাবিলা এগোনোর বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদি। প্রকল্পের উদ্বোধনের পরে নরেন্দ্র মোদি বলেন, "আমি অত্যন্ত আনন্দিত তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করার সুযোগ পেয়ে। আমরা এনিয়ে মোট ১২টি প্রকল্প উদ্বোধন করলাম।" তিনি বলেন, "এই প্রকল্পগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য। এটা দুই দেশের নাগরিকদের জন্য সমৃদ্ধি আনবে।"
তিনি জানান, এলপিজি সরবারহ দুই দেশের নাগরিকের ন্যূনতম চাহিদা মিটবে বলে আশাবাদী। এতে কর্মসংস্থানও হবে। বাড়বে আয়। বাংলাদেশ-ভারত স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। দক্ষ শ্রমিক ও টেকনিশিয়ান তৈরিতে সাহায্য করবে বলে জানান নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি বিবেকানন্দ ভবনও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি জানান। প্রকল্পগুলি কর্মসংস্থান, দক্ষতা উন্নয়ন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে। এর লাভবান হবে দুই দেশের আম জনতা। তিনি বলেন, দুই দেশের মানুষই রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দর আদর্শে অনুপ্রাণিত। আরও পড়ুন: Aarey Tree Cutting: বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশের পরও আরে কলোনিতে গাছ বাঁচাতে মরিয়া পরিবেশবিদরা, গ্রেপ্তার ২৯
তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন ছাড়াও ৭টি চুক্তি হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে। তার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম ও মোঙ্গলা বন্দরের ব্যবহার। ত্রিপুরায় জল সরবরাহের জন্য ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক জল তুলতে পারবে ভারত। এনিয়ে মউ স্বাক্ষর হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মউ স্বাক্ষর হয়েছে। সংস্কৃতি আদানপ্রদান সংক্রান্ত প্রোগ্রাম, দুই দেশের যুব সমাজের উন্নয়ন ও উপকূল সুরক্ষা নিয়েও মউ স্বাক্ষর হয়েছে।
সূত্রের খবর, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় তাঁদের। পাশাপাশি এনআরসি বিষয়ে হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে। অসমের এনআরসি নিয়ে তাদের কোনও চিন্তা নেই বলে জানান হাসিনা। তিস্তা জলচুক্তি নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এ দিন শেখ হাসিনার পাশাপাশি, খোদ নরেন্দ্র মোদিও তাঁর বক্তৃতা শেষ করেন ‘জয় বাংলা’ বার্তা দিয়ে।