বাদাউন, ২৩ সেপ্টেম্বর: বিরল দৃষ্টান্ত, “সম্মান রক্ষায়” (Honour Killing) মেয়েকে খুন করে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেল বাবা মা। উত্তর প্রদেশের বাদাউনের জেলা দায়রা আদলতে বৃহস্পতিবার এই সাজা শোনান বিচারক। সবমিলিয়ে মোট ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। আরও ২ জনের সঙ্গে মিলে ২০১৭ সালে মেয়ে ও তাঁর প্রেমিককে হত্যা করেছিলেন বাবা-মা। ঘটনাটি ঘটে বাদাউনের ওয়াজিরগঞ্জে।আরও পড়ুন - Boat Capsizes Off Syrian Coast: সিরিয়ার সমুদ্র উপকূলে নৌকাডুবি, মৃত ৩৪ আহত ১৪ (দেখুন ভিডিও)
বছর ১৯-এর আশা প্রেমিক গোবিন্দ কুমারের (২৩) সঙ্গে পালিয়েছিল। মাসখানেক পর তারা ফিরতেই দুই আত্মীয়র সঙ্গে যোগসাজশ করে কুঠারের কোপে আশা ও গোবিন্দকে হত্যা করে বাবা-মা। প্রমাণ লোপাটে বাড়ির চৌহদ্দিতেই দেহদুটিকে পুঁতে দেয়। পরে পুলিশ তা উদ্ধার করে।
জানা গেছে, আশা ও গোবিন্দ একই গোত্রের হলেও আশার পরিবার এই সম্পর্কের বিরোধী ছিল। জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী অনিল সিং রাঠোর বলেছেন, আশা ও গোবিন্দকে হত্যায় যুক্ত ছিল মা জলধারা, বাবা কিষাণলাল, আত্মীয় বিজয় পাল ও রামবীর। ২০১৭-র ১৪ মে ঘটনাটি ঘটে। দেহ লোপাটের সময় প্রতিবেশীদের একজন বিষয়টি দেখে ফেলেন এবং গোবিন্দর বাবা পাপ্পুলালকে খবর দেন।
পুলিশকে খবর দেওয়া হলে মাটি খুঁড়ে দেহদুটি উদ্ধার হয়। চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ২০১ ও ৩০২ ধারায় মামলা রুজু হয়।
সমস্ত তথ্য প্রমাণ ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য শুনে আদালত এটিকে ঠান্ডা মাথার খুন বলে অভিহিত করে।চার অভিযুক্তকেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। এটি নিঃসন্দেহে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। মেয়েকে হত্যায় মা এখানে চরম নৃশংসতার পরিচয় দিয়েছে।