বিশ্ব উষ্ণায়ন রুখতে সংস্কৃতই সব, কী বললেন ন্যাশন্যাল কমিশনের চেয়ারম্যান?
নন্দকুমার সাই(Photo Credit-ANI)

জয়পুর,  ৭জুন: সংস্কৃত ভাষার চর্চা করলে আর ভারতকে বিশ্ব উষ্ণায়নের (global warming)ধকল সহ্য করতে হত না। বিশ্ব উষ্ণায়নের সঙ্গে সংস্কৃতের কি সম্পর্ক তানিয়ে আলোচনা আজ তোলাই থাক। কিন্তু সেই সম্পর্কেরই ধার খুঁজে পেয়েছেন ন্যাশন্যাল কমিশন ফর শিডিউলড ট্রাইবস-এর চেয়ারম্যান নন্দ কুমার সাই (Nand Kumar Sai) । দেশের প্রতিটি রাজ্যে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি বাধ্যতা মূলক করার নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে উত্তাল দেশ। দক্ষিণ ভারতে যখন বিরোধিতা চরমে তখন পশ্চিমবঙ্গও পিছিয়ে নেই। সেই সময় নন্দ কুমার সাইয়ের এহেন মন্তব্য প্রাসঙ্গিকতাকেই নির্দেশ করছে।  আরও পড়ুন-রণতরী আইএনএস শিবাজী-তে আত্মঘাতী নাবিক, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

হিন্দিভাষা শিক্ষাকে বাধ্যতা মূল করা নিয়ে যে দ্বন্দ্ব চলছে সেই প্রসঙ্গেই এক টিভি চ্যানেলে ইন্টারভিউ দিচ্ছিলেন নন্দ কুমার সাই। সেখানেই তিনি বলেন, “সংস্কৃত থেকেই হিন্দি এসেছে। তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালিও সংস্কৃতের খুব কাছাকাছি। অতএব, সংস্কৃতকে (Sanskrit language) বাধ্যতামূলক করা উচিত। আমরা যদি এখনও সংস্কৃত পড়তাম, তা হলে আমাদের এই ধরনের গ্লোবাল ওয়ার্মিং দেখতে হতো না। সংস্কৃত যে ভাবে প্রকৃতি ও গাছপালার সংজ্ঞা নির্ধারণ করে, কোনও ভাষা তা করে না। জাতীয় স্তরে সংস্কৃত পড়ানো হলে এর থেকে কর্মসংস্থানও হতে পারে।”

বলা বাহুল্য, বিশ্ব উষ্ণায়নের জুজু যখন গোটা পৃথিবীকে তটস্থ করে রেখেছে, সেই সময় ন্যাশন্যাল কমিশন ফর শিডিউলড ট্রাইবস-এর চেয়ারম্যানের এই নয়া সমাধান সূত্র কিন্তু ভাবনার অবকাশ রাখে। তবে তাঁর মন্তব্য কতটা বাস্তবসম্মত তা পরীক্ষা করে দেখতে ক্ষতি নেই। জাতীয় খসড়া নীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নন্দ কুমার সাই জানান, সংস্কৃত জীবনের মূল্যবোধকে বুঝতে শেখায়, মাটিকে চেনায়, শিকড়কে চেনায়। তাই এই দেবভাষা ভাল করে না শিখলে জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হবে। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইংরেজি ভাষাকেও গুরত্ব দিতে নারাজ সাই, তাঁর মতে একটা বাইরের ভাষা কোনওমতেই ভারতীয় সংস্কৃতির স্বাদ, হৃতগৌরব ফেরাতে পারে না।