ICMR Reports On Coronavirus: কোভিড-১৯ এর বাহক দেশের ২ প্রজাতির বাদুড়, গবেষণায় বলল আইসিএমআর
বাদুড়ের প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pxhere)

নতুন দিল্লি, ১৫ এপ্রিল: মারণ ভাইরাস করোনার বাহক হতে পারে বাদুড়। এই খবর আগেই মিলেছিল। এবার আইসিএমআর-এর গবেষণায় পাওয়া গেল তার প্রমাণ। ইন্ডিয়ান ফ্লাইং ফক্স এবং ফল খাওয়া বাদুড়ের শরীরে পাওয়া গেছে এই আরএনএ ভাইরাসের খোঁজ। আইসিএমআর-এর (ICMR) সাম্প্রতিক গবেষণা রিপোর্ট বলছে, ভারতের এই দুই প্রজাতির বাদুড়ের মধ্যে বিটা বাইরাসের প্রাণঘাতী ভাইরাল স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে। ২০০১ সালে নিপা ভাইরাস মাথাচাড়া দিয়েছিল ভারতে। সংক্রামিত ৬৬, মৃত্যু কম করেও ৪৫। সেই সময় আইসিএমআর-এনআইভির রিপোর্ট বলেছিল ফল খাওয়া বাদুড়রাই এই ভাইরাসের বাহক। ২০০২ সালে সার্স ভাইরাসের সংক্রমণের সময়েও বাহক হিসেবে বাদুড়ের নামই করা হয়েছিল। যেহেতু সার্স ভাইরাসের পরিবারেরই সদস্য এই কোভিড-১৯, তাই এই ভাইরাসের বাহক হিসেবে বাদুড়ই রয়েছে সন্দেহের তালিকায়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৬৬ রকম ভাইরাসের বাহক হল বাদুড়। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immune System) এমনই অদ্ভুত যেখানে ভাইরাসরা নানাভাবে নিজেদের বিস্তার ঘটাতে পারে। লক্ষণহীন সংক্রমণ ঘটাতে পারে এমন ভাইরাসও নিশ্চিন্তে বেড়ে ওঠে বাদুড়ের শরীরে। আইসিএমআর ও এনআইভি-র যৌথ গবেষণায় ২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, গুজরাট, ওড়িশা, তেলঙ্গানা, চণ্ডীগড় ও পুদুচেরী থেকে কয়েক প্রজাতির বাদুড়ের উপর পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইন্ডিয়ান ফ্লাইং ফক্সের চারটি স্যাম্পেল ও ফল খাওয়া বাদুড়দের ২১টি স্যাম্পেলের মধ্যে ব্যাট-কভ (BtCov-যা আসলে বিটা-করোনারই স্ট্রেন) স্ট্রেন পাওয়া যায়। আরও পড়ুন- Coronavirus Cases Spike: গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ১০৭৬, দেশে সংক্রামিতর সংখ্যা এখন ১১ হাজার ৪৩৯

উল্লেখ্য, এই মারণ ভাইরাসের উৎসের কারণ বাদুড় হতে পারে কিনা সেই নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা চালাচ্ছিল আইসিএমআর ও পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (NIV)। দুই প্রজাতিরই ২৫টি বাদুড়ের গলা থেকে পাওয়া নমুনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করে ভাইরাল স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে। মনে করা হচ্ছে নয়া করোনাভাইরাসের Reservoir এই দুইপ্রজাতির বাদুড় হলেও হতে পারে। তবে এই বাদুড়ের থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ এখনই ছড়িয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।