নতুন দিল্লি, মার্চ: “আজকে মেয়ের ছবিকে জড়িয়ে ধরে বললাম, আজ তুমি সুবিচার পেয়েছো।” শুক্রবার ভোর পাঁচটা বেজে ৩০ মিনিটে তিহাড় জেল চত্বরেই ফাঁসি (Nirbhaya Case Convicts Hanged) হয়ে গেল নির্ভয়ার চার ধর্ষক খুনিদের। চার খুনি মুকেশ সিং, পবন গুপ্ত, বিনয় শর্মা, অক্ষয় কুমার সিং। তিনবার বিবিধ কারণে ফাঁসি রদের পর অবশেষে তা সম্পন্ন হল। এদিন ভোরবেলাতেই জেলের সামনে ভিড় করেছিল উৎসাহী জনতা। ফাঁসির খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই সেখানে উঠতে থাকে জয়ধ্বনি। ফাঁসির পরে পরেই নির্ভয়ার মা আশাদেবী বলেন, “একটা দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে ফাঁসিটা হল। আমরা আজ সুবিচার পেলাম। এই দিনটি দেশের মেয়েদেন জন্য উৎসর্গ করছি। বিচারবিভাগ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমার মেয়ে নেই, সে আর ফিরবে না। সে যখন আমেদের ছেড়ে চলে গেল, তখন থেকেই এই লড়াইটা লড়ে যাচ্ছি। এই লড়াই তারজন্য ছিল। তবে আমরা ভবিষ্যতেও আমাদের মেয়েদের জন্য লড়াইটা জারি রাখব।” শুক্রবার ভোর চারটের সময় জেলের সুপার সেলে যাওয়ার আগে সবার ঘড়ির ঘণ্টা-মিনিট-সেকেন্ড এক করে নেন। তার পর তিনি এক-একজন করে অভিযুক্তদের ডেকে তোলেন। তাদের বলা হয়, হাত গরাদের বাইরে করতে। এর পর হাতকড়া পরিয়ে সাজাপ্রাপ্তরা হাত ঢুকিয়ে নেওয়ার পর ভিতরে যান সবাই। চার জনকে স্নান করে প্রার্থনা করতে বলা হয়। এর পর নতুন কালো কাপড় পরানোর পর জেলকর্তা পড়ে শোনান আদালতের নির্দেশ। তিহারের জেল ম্যানুয়ালে বলা রয়েছে, সাড়ে পাঁচটার সময় সেখানে ব্রেকফাস্ট হয়। ফলে চার জনের কেউ সকালের খাবারের জন্য বিবেচিত হয়নি। তবে চা পেতে পারে। আরও পড়ুন-Nirbhaya Case Convicts Hanged In Tihar Jail: অবশেষে সুবিচার, ফাঁসিকাঠে ঝুলল নির্ভয়ার ৪ ধর্ষক
#WATCH Asha Devi, mother of 2012 Delhi gang rape victim says, "As soon as I returned from Supreme Court, I hugged the picture of my daughter and said today you got justice". pic.twitter.com/OKXnS3iwLr
— ANI (@ANI) March 20, 2020
অবশেষ সাত বছরের যাবতীয় দড়ি টানাটানি শেষ। শুক্রবার ২০ মার্চ ভোড় সাড়ে পাঁচটায় তিহাড় জেলের ফাঁসির মঞ্চে চার ধর্ষকের ভবলীলা সাঙ্গ হল (Nirbhaya gangrape-murder case Convicts Hanged)। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম চার জনের ফাঁসি হল একসঙ্গে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, ঠিক সময়ে ফাঁসিকাঠে চড়ানো হয় চার জনকে। এর পরে চলে ১২০ সেকেন্ডের কাউন্টডাউন। কাঁটায় কাঁটায় সাড়ে পাঁচটায় ট্রিগার টেনে একসঙ্গে চার অভিযুক্তের ফাঁসি দেন ফাঁসুড়ে পবন। নিয়ম মেনে ৩০ মিনিট ফাঁসিকাঠেই ঝোলে দেহগুলি।