নতুন দিল্লি, ১২ ডিসেম্বর: হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ জনের এনকাউন্টারের (Encounter) ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ৬ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে তদন্ত কমিটিকে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভিএস সিরপুরকের ( VS Sirpurkar) নেতৃত্বে কমিটিতে রয়েছেন বম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রেখা বালদোতা (Rekha Baldota) ও সিবিআইয়ের প্রাক্তন অধিকর্তা কার্তিকেন ( DR Karthikeyan)। এনকাউন্টারের তদন্তে ইতিমধ্যেই ৮ সদস্যের বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তেলাঙ্গানা সরকার। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আর কোনও আদালত বা কর্তৃপক্ষ তদন্ত করতে পারবে না। অথাৎ তেলাঙ্গানা সরকারের গঠন করা আট সদস্যের সিট (SIT) ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) প্রতিষ্ঠিত তদন্ত কমিটির কোনও ভূমিকা থাকল না।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস বোবদের (Chief Justice S A Bobde) নেতৃত্বাধীন এসএ নাজির ও সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, তেলেঙ্গানায় পুশ চিকিত্সককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করছে আদালত। সে কারণে তদন্ত কমিটি গঠন হওয়া দরকার। ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে জমা দিতে রিপোর্ট। তার আগে প্রধান বিচারপতি বলেন, ''আমরা বলছি না পুলিশই দোষী। এব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। আপনাদের বয়ানও খতিয়ে দেখা উচিত। তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছি। আপনারা সহযোগিতা করুন।" আরও পড়ুন: PM Modi Tweets as Anti-CAB Protests Flare Up Across Assam: ‘আপনাদের কোনও অধিকার কেউ কেড়ে নেবে না’, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় উত্তপ্ত অসমকে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেছে, "অভিযুক্ত চার'জনের মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত বলে আমাদের বিবেচিত মতামত রয়েছে।" শীর্ষ আদালত তেলাঙ্গানা সরকারের এই যুক্তিও খারিজ করে যে, তারা এই এনকাউন্টারের তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছে। এছাড়া প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়াকে প্যানেলর শুনানির বিষয়ে রিপোর্টিং করা থেকে বিরত থাকার জন্য আবেদনকারী এমএল শর্মার আবেদনে সাড়া দিয়েছে।
৬ ডিসেম্বর সকালে হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনে ৪ অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করে তেলাঙ্গানা পুলিশ। হায়দরাবাদ শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অপরাধস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় ৪ অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন ও চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশাভুলুকে। পুলিশের দাবি, ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতেই সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অভিযুক্তদের। তারা পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন গুলি চালানো হয়। এমনকি লাঠি ও পাথর দিয়েও হামলা চালায় অভিযুক্তরা। সায়দরাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, আইন নিজের কর্তব্য করতেই এনকাউন্টার করেছে।