হায়দরাবাদ, ৬ মে: হিন্দু নাগরাজুর সঙ্গে বোনের বিয়ে মেনে নিতে পারেননি আসরিন সুলতানার দাদা। সেই কারণে প্রকাশ্যে রাস্তায় নাগরাজুকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের (Hyderabad) রাস্তায় 'অনার কিলিংয়ের' (Honour Killing) যে ঘটনা ঘটে, তা শুনে শিউরে ওঠার মত। নাগরাজুর মৃত্যুর পর দাদার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন আসরিন। তিনি বলেন, তাঁর দাদা সব সময় এই বিয়ের বিপক্ষে ছিলেন। মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে তবেই নাগরাজু তাঁকে বিয়ে করবেন বলে শ্যালককে জানান। তাতেও তিনি রাজি হননি বলে অভিযোগ আসরিনের।
হায়দরাবাদের ওই ঘটনায় যখন তোলপাড় শুরু হয়েছে, সেই সময় ঘটনার বিবরণ দেন আসরিন সুলতানা। তিনি বলেন, তাঁরা বাড়ি ফেরার সময় হাঠাৎ করে তাঁর দাদা এবং এক ব্যক্তি রাস্তা আটকে দাঁড়ান। মোটরসাইকেল থেকে নাগরাজুকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর নাগরাজুকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন আসরিনের দাদা এবং ওই ব্যক্তি। বারববার চিৎকার করা সত্ত্বেও ওই সময় নাগরাজুকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ করেন আসরিন।
বুধবার হায়দরাবাদে রাস্তার উপরেই ওই দম্পতির উপর লাঠি, রড নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। হামলার পর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিল্লাপুরম নাগরাজু এবং আসরিন সুলতানা বিয়ে করেন। কলেজে পড়াশোনার সময় থেকেই বিল্লাপুরাম নাগরাজু এবং আসরিন সুলতানা সম্পর্কে জড়ান। এরপর দুজনে সাতপাকে বাঁধাপড়েন। বিয়ের পর আসরিন সুলতানা নিজের নাম পরিবর্তন করে পল্লবী রাখেন। যা পরিবারের তরফে থেকে মেনে নেওয়া হয়নি।