সেনাবাহিনীতে মহিলা (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৭ ফেব্রুয়ারি: সেনাবাহিনীতে মহিলাদের (women officers) নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র এখনও পুরুষ তান্ত্রিক মধ্যযুগিয় সময়কেই আঁকড়ে ধরে রয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে সহমত নয় দিল্লি হাইকোর্ট। এবার দিল্লি হাইকোর্টকে সমর্থন করে রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। স্বাধীনতার ৭০ বছর পর একেবারে ঐতিহাসিক রায়। সেনাবাহিনীতে স্থায়ীপদে মহিলাদের নিয়োগ করতে হবে। কেন্দ্রের সরকার কোনওভাবেই এক্ষেত্রে মহিলাদের কর্মদক্ষতাকে যেমন ছোট করতে পারে না। তেমনই সংবিধান বিরুদ্ধ কাজও করতে পারে না। এতদিন মহিলারা শর্ট সার্ভিস কমিশনে চাকরি পেতেন। এক্ষেত্রে দিল্লি হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি সরকারকেও তার মানসিকতা বদল করার কথা বলল আদালত।

এককথায় সেনা বাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ী পদে নিয়োগ নিয়ে শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেল কেন্দ্র। তবে কমব্যাট ফোর্সের ক্ষেত্রে এই রায় প্রযোজ্য নয়। এদিন সু্প্রিমকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্র এতদিন সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য করে গিয়েছে যা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪ ও ১৬ ধারার পরিপন্থী। তাই কেন্দ্রকে এই ধারণা থেকে সরতে হবে এবং এই মুহূর্তে যেসব মহিলা কর্মীরা সেনাবাহিনীতে রয়েছেন, তাঁদের স্থায়ী নিয়োগপত্র দিতে হবে। ২০১০-এ যখন দিল্লি হাইকোর্ট সেনাবাহিনীতে স্থায়ীভাবে মহিলাদের নিয়োগের রায় দিল তখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেই রায় মানতে নারাজ ছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আজকের সুপ্রিম রায় কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টকেই সমর্থন করল। আরও পড়ুন-IAF Acquiring 83 Tejas Fighters From Hal: চুক্তি চূড়ান্ত, হ্যাল-এর থেকে ৮৩টি যুদ্ধ বিমান কিনছে বায়ুসেনা

বলা বাহুল্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেনাবাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ী নিয়োগকে সমর্থন করেন। ২০১৮-র স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এই ইচ্ছেকে বাস্তবায়িত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। এতদিনে সেই ফল ফলল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। দিল্লি হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, মহিলাদের সেনাবাহিনীতে স্থায়ী কমিশনড পদে নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্র।  কেন্দ্রের ওই মনোভাবকে লিঙ্গ স্টিরিওটাইপ বলে বর্ণনা করেছে শীর্ষ আদালত। এই ধরনের মনোভাব মহিলাদের অপমান। শীর্ষ আদালতের রায় অনুযায়ী, যেসব মহিলা অফিসার স্থায়ী পদের জন্য আবেদন করেছেন তাদের আগামী তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে সব শর্ত হবে পুরুষদের মতোই।