পিংকি চৌধরী (Photo Credits: Twitter)

নতুন দিল্লি, ৭ জানুয়ারি: দেশজুড়ে অতি হিন্দুত্ববাদী দলগুলি জেঁকে বসেছে। নানা জায়গায় দেশভক্তির নামে চালাচ্ছে তাণ্ডবলীলা। একরকমই একটি অতি হিন্দুত্ববাদী দল 'হিন্দু রক্ষা দল' (Hindu Raksha Dal)। জেএনইউ হামলার দায় স্বীকার করে নিল তারা। হিন্দু রক্ষা দলের শীর্ষ নেতা জানান, 'আমরা এরকম গতিবিধি সহ্য করব না।'

গত রবিবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU) রাতে মুখ ঢেকে একদল হামলাকারী ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। আক্রান্ত হন জেনইউয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষসহ আরও একাধিক পড়ুয়া ও অধ্যাপক, অধ্যাপিকা। গার্লস হস্টেলে বর্বরোচিত হামলায় রেহাই পাননি শিক্ষিকা সুচরিতা সেনও। এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। অভিযোগ উঠেছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিরুদ্ধে। কিন্তু এবিভিপি এই কাণ্ড ঘটায়নি বলে দাবি করে। আরও পড়ুন, জেএনইউ-এর আহত ছাত্র নেতা ঐশী ঘোষের বিরুদ্ধে FIR বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের!

কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এই নিয়ে চলছিল জল্পনা এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে জেএনইউ-তে তাণ্ডব চালানোর দায় স্বীকার করে নেয় হিন্দু রক্ষা দল। তাদের সর্বভারতীয় সভাপতি পিংকি চৌধরী (Pinki Chaudhary) জানিয়েছেন, 'দেশের শত্রুদের দেশ ভাগ করতে দেব না, দেশহিতের জন্য এই কাজ করেছি। জেএনইউ ক্যাম্পাসে কেউ তিলক লাগিয়ে যেতে পারে না কেন? জেএনইউতে যে সব কাজ করা হত, তা পুরোপুরি দেশবিরোধী। আমরা ভয় পাই না, যা হবে দেখা যাবে।' ভবিষ্যতে ফের এমন হামলা চালানো হবে বলে দাবি করা হয়।

হিন্দু রক্ষা দলের এই দাবি তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। অপরাধীদের ধরতে ভিডিয়ো ফুটেজ ও ফেস রেকগনিশন সিস্টেমের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তারা। ২০১৪ সালে হিন্দু রক্ষা দল কৌশম্বীর আম আদমি পার্টির (এএপি) কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে নিন্দার মুখে পড়েছিল। দলটির অন্যতম নেতা ভূপেন্দ্র তোমরকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন দলের মালিকানাধীন জায়গাটি ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এল ঐশীর (Aishe Ghosh) নামে এফআইআরের তথ্য। ঘটনার দিনই অর্থাৎ গত ৫ জানুয়ারিই ওই এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছিল। দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঐশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ গত ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। ভাঙচুর চালিয়েছেন কক্ষেও! তবে ঐশী একা নন, একই অভিযোগে অভিযুক্ত আরও ১৯ জন পড়ুয়া। গতকাল সোমবারই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্তে দিল্লি পুলিশের উচ্চকর্তার হাতে দায় ভার সঁপেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ঘটনার সময় দিল্লি পুলিশের নীরব দর্শকের ভূমিকা এবং এফআইআর দায়ের না করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পদক্ষেপে যা লঘু স্থিমিত হয়। কিন্তু মঙ্গল্বারের নতুন তথ্যে ফের উঠছে প্রশ্ন।