নতুন দিল্লি, ২৬ মে: তাপপ্রবাহে পুড়ছে উত্তর ও মধ্য ভারত (North and Central India)। মঙ্গলবার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে তীব্রতা শীর্ষে পৌঁছতে পারে বলেও পূর্বাভাস। ফলে আবহাওয়া অফিস দিল্লিতে অরেঞ্জ সতর্কতাও (Orange Alert) জারি করেছে। IMD-র টুইট অনুযায়ী, আগামী ২৬ মার্চে তাপপ্রবাহ শীর্ষে পৌঁছনোর সম্ভাবনা হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের কিছু এলাকায়। পরপর দু দিন বিস্তীর্ণ এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাপপ্রবাহ ঘোষণা করা হয়। তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে গেলে গুরুতর তাপপ্রবাহ বলা হয়। তখন জারি করা হয় লাল সতর্কতা।
সফদরজং অবজারভেটরিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি বেশি। এ ছাড়া পালাম, লোধি নগর ও আইয়া নগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬.২ ডিগ্রি, ৪৪ ডিগ্রি ও ৪৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াল ছিল। সোমবার দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার ও শনিবার NCR এলাকায় ধুলোর ঝড় ও বজ্রপাত-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। রাজস্থানের চুড়ুতে তাপপ্রবাহ ৪৭.৫ ডিগ্রিতে পৌঁছে গেছে। মহারাষ্ট্রের নাগপুরে সর্বোচ্চ ৪৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। এককথায়, জ্বলছে গোটা উত্তর ও মধ্য ভারত। আরও পড়ুন, রাজ্যে আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা চালু হচ্ছে ২৮ মে, জারি হল সরকারি নির্দেশিকা
তবে পশ্চিমবঙ্গে কিছুটা স্বস্তি। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা বাড়ছে। জোরালো দখিনা-পশ্চিমি বাতাসের দাপটে রবিবার থেকেই বৃষ্টি চলছে উত্তরের জেলাগুলিতে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হয়েছে। বৃষ্টি চলবে আগামী ৪৮ ঘণ্টাতেও। সোমবার বীরভূম ও মালদা জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হয়। কালবৈশাখীর দাপটে মালদায় আমের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। বীরভূমের সিউড়িতে ঝড়ের দাপটে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে। বেশ কিছু বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। অনেক গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বুধবার থেকে আরও কিছু জায়গায় কালবৈশাখীর পরিস্থিতি অনুকূল হবে।