হাথরাস, ২ মার্চ: ফের খবরের শিরোনামে যোগীর রাজ্যের হাথরাস। এবার জেল থেকে বেরিয়ে নির্যাতিতার বাবাকে খুন করল যৌন হেনস্তাকারী। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় হাথরসের এক মন্দির চত্বরে। খুনের পরই বেপাত্তা অভিযুক্ত গৌরব শর্মা। ঘটনার সূত্রপাত ২০১৮-তে। এলাকার এক তরুণীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে গৌরব শর্মার বিরুদ্ধে। অভিয়োগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয় অভিযুক্ত। গতকাল সে জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছে। বিকেল চারটে নাগাদ স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এলাকার এক মন্দিরে আসে জেলখাটা আসামী গৌরব। এদিকে নির্যাতিতার পরিবারও সেসময় মন্দির চত্বরে ছিল। এমনিতেই গৌরবের জেলে যাওয়ার পর থেকে দুই পরিবারের মধ্য নিত্য অশান্তি লেগে রয়েছে। আরও পড়ুন-COVID-19 Vaccine: এবার কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের ফর্মুলা চুরিতে তৎপর চিনা হ্যাকাররা
এদিন মুখোমুখি হতেই দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। আচমকা পিস্তল বের করে নির্যাতিতার বাবাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সদ্য জামিনেমুক্ত গৌরব শর্মা। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই এলাকা ছেড়ে উধাও হয়ে যায় খুনে গৌরব। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হাথরাস থানার পুলিশ। অভিযুক্তের পরিবারের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে রক্তাক্ত ব্যক্তিকে স্থানীয়রা হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পথেই তাঁর মৃ্ত্যু হয়। গোটা ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। ঘটনার আকস্মিকতায় একেবারে হতবাক সদ্য পিতৃহারা তরুণী। ইতিমধ্যেই গৌরব শর্মার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তাঁর সাফ দাবি, যৌন হেনস্তা করেছিল গৌরব শর্মা। তার সাজা সে পেয়েছে। এদিকে তাঁর বাবা একজন নির্দোষ শান্তিপ্রিয় মানুষ। জেল থেকে বেরিয়ে গৌরব কিনা বাবাকেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নিল। এর সুবিচার চান তিনি। খুনে অভিযুক্ত গৌরব শর্মার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
বলা বাহুল্য, গত সেপ্টেম্বরেই দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ তোলপাড় হয়েছিল হাথরাস। এখানেই শেষ নয়, তরুণী দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার বদলে পুলিশই তা কেরোসিন ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়। সেই ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন পড়েছিল। যোগীর রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সামলোচনায় মুখর হন দেশের নামী ব্যক্তিত্বরা। এখনও হাথরাস গণধর্ষণ মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তবার রয়েছে সিবিআই-এর জিম্বায়। ফের একবার নির্যাতিতার বাবাকে খুনের ঘটনায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সেই হাথরাস।