লখনউ, ৩০ সেপ্টেম্বর: হাথরাস গণধর্ষণের ঘটনায় (Hathras Gangrape Case) নির্যাতিতার পরিবারকে ২৫ লাখ আর্থিক সাহায্য ঘোষণা উত্তরপ্রদেশ সরকারের (UP Govt)। এছাড়াও পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি ও বাড়ি দেওয়া হবে। আজ মৃত যুবতির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সরকার ঘোষণা করেছে, এই মামলার বিচার হবে ফার্স্ট ট্রাক কোর্টে। তদন্তে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যদের বিশেষ তদন্তকারী দল। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১৪ সেপ্টেম্বর হাথরসে নিজের গ্রামের বাইরে মাঠে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন ওই যুবতি। ঘাসের বোঝা নিয়ে তাঁর ভাই আগে বাড়ি চলে গেছিলেন। ঘাস কাটতে কাটতে মায়ের থেকে ওই যুবতি কিছুটা দূরে চলে যান। সেই সময় চার যুবক তাঁকে বাজরা ক্ষেতে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। বেধড়ক মারধার করা হয়। কেটে দেওয়া হয় জিভ। পরের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে আলিগড়ের জেএন মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মঙ্গলবার মৃত্যু হয়। গতরাতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। আরও পড়ুন: Hathras Gangrape: 'দু'সপ্তাহ ধরে কী ঘুমোচ্ছিলেন আপনি?' হাথরস ধর্ষণকাণ্ডে যোগী আদিত্যনাথকে তুলোধনা প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রার
যদিও অভিযোগ, সৎকারের সময় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেও দুর্বব্যহার করা হয়েছে। শেষবারের মত নিজের মেয়েকে দেখতে পাননি মা। এমনকী, ঘরেও নিয়ে যাওয়া হয়নি দলিত মেয়েটির মৃতদেহ। সৎকারের যাবতীয় কাজ থেকেও বঞ্চিত হতে হয়েছে ধর্ষিতার বাবাকে। ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC) উত্তরপ্রদেশ সরকারের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপিকে নোটিশ পাঠিয়েছে।