গুরুগ্রাম, ১০ জুলাই: মহিলা সহকর্মীকে বাড়িতে ডেকে যৌন হেনস্তার পর অশ্লীল ভিডিও তুলে রাখল বহুজাতিক সংস্থার এক্সিকিউটিভ। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে নির্যাতিতাকে ব্ল্যাকমেলিং শুরু করল অভিযুক্ত। তাকে বিয়ে না করলে এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে দেওয়ার ভয়ও দেখাল। এরপরেই ঘোর আতঙ্কি নির্যাতিতা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলে ওই কালপ্রিটকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর ফোন পরীক্ষা করতেই সেই সব আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ্যে এসে পড়ে। আরও পড়ুন-দাঁতে চেপে রিভলবার, দুহাতে দুটি পিস্তল নিয়ে নৃত্য করছেন বিজেপি বিধায়ক প্রণব সিং (দেখুন ভিডিও)
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে আইপিসি ৩৭৬ (ধর্ষণ) ও ৫০৬ (অপরাধমূলক কাজে) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে ধৃত। দীর্ঘদিন ধরেই গুরুগ্রামের একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করছেন নির্যাতিতা তরুণী। তাঁর বাড়ি দিল্লিতে। বছর খানেক আগে ওই সংস্থায় তাঁর সহকর্মী হয়ে আসে অভিযুক্ত। অভিযোগ, বেশ কিছুদিন পর থেকেই কারণে অকারণে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে সে। বেশ কিছুদিন আগে প্রপোজও করেছিল। সেই সময় না করে দেন তরুণী, তারপর থেকেই তরুণী পিছনে পড়ে যায় অভিযুক্ত। হুমকি দিতে শুরু করে। বলে তরুণী বন্ধুত্ব করতে সম্মত না হলে সে হাতের শিরা কেটে ফেলবে। কর্মক্ষেত্রে বিড়ম্বনা এড়াতে তাতেই সায় দেন ওই তরুণী। এরপর
এক মহিলা সহকর্মীকে যৌনহেনস্থা ও তারপর অশ্লীল ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগে গ্রেফতার করা হলো গুরগাঁওয়ের এক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির এক্সিকিউটিভকে। এরপর গত ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ওই তরুণীকে সোহনা রোড এলাকায় নিজের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে অভিযুক্ত। তরুণী গেলে সেখানে জোর করে তাঁর যৌননিগ্রহ করে সে। বিয়ের প্রস্তাবও দেয়, বাড়িতে কথা বলতে বলে। তবে যৌন নিগ্রহের ভিডিও যে করা হয়েছে তা জানতেন না নির্যাতিতা। এরপর অফিসের রেজিস্ট্রার থেকে তরুণীর বাবর ফোন নম্বর নিয়ে তাঁকে ফোন করে মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেয় অভিযুক্ত। তরুণী জানতে পেরে তাকে ব্লক করে দেন। পরের দিনই অন্য একটি ফোন থেকে নির্যাতিতাকে ফোন করে ব্লক তুলে নিতে বলে অভিযুক্ত, রাজি না হলে আপত্তিকর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবে, এই হুমকিও দেয়। এরপর গত শুক্রবার অফিসে এসে সেই ভিডিওটি প্রায় জোর করেই তরুণীকে দেখায় অভিযুক্ত এমনকী, তাঁর বাবাকে ফোন করে মেয়ের বিয়ের চাপ দিতে থাকে। বিয়েতে মত না দিলে মেয়ের সম্মানহানির হুমকি দিলে নির্যাতিতা আর চুপ করে থাকেননি। নিকটবর্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে গ্রেপ্তার হয় ওই যুবক।