
দিল্লি, ৭ মার্চ: এবার এক ফিজিওথেরাপিস্টের (Physiotherapist) বিরুদ্ধে উঠল অভিযোগ। রিপোর্টে প্রকাশ, সুস্থ করার নামে এক রোগীকে মাদক দিয়ে, তাঁর ঘনিষ্ঠ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে ফিজিওথেরাপিস্ট। চিকিৎসার নামে এক গৃহবধূকে নিজের জালে ফাঁসিয়ে মাদকাসক্ত করে, তাঁর ঘনিষ্ঠ ছবি তোলে নীলেশকুমার নায়েক নামে এক ফিজিওথেরাপিস্ট। এরপর ওই ফিজিওথেরাপিস্ট সেই ছবি ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট মহিলার কাছ থেকে অর্থ হড়পের ফন্দি আঁটে। তবে ফিজিওথেরাপিস্ট ভয় দেখালেও ওই মহিলা সাহস করে পুলিশের (Police) দ্বারস্থ হন এবং দায়ের করেন অভিযোগ। গত ৫ মার্চ গুজরাটের (Gujarat) আহমেদাবাদের মণিনগর থানার পুলিশ ওই ফিজিওথেরাপিস্টকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার শুরু ২০২১ থেকে। ২০২২ সাল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মহিলার বিশ্বাসভাজন হয়ে ওঠে নীলেশকুমার নায়েক। ওই মহিলা যখন মণিনগর থানায় যান চিকিৎসার জন্য, সেই সময় বিভিন্ন কাজ করে তাঁর বিশ্বাসভাজন হয়ে ওঠে নীলেশকুমার।
জানা যায়, বাবার অসুস্থতার নাম করে ওই মহিলার কাছ থেকে নীলেশ ২ লক্ষ টাকা ধার করে। সেই টাকা নীলেশ মেটাতে পারেনি। তবে কিছুু বলেননি ওই মহিলা। এরপর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে নীলেশের কাছে চিকিৎসার জন্য আবার যাতায়াত শুরু করেন সংশ্লিষ্ট মহিলা। ওই সময়ও নীলেশ ওই মহিলার কাছ থেকে গয়না ধার নেয়। নির্দিষ্ট সময়ে ফেরৎ দেবে বলে জানান নীলেশ। তবে তা দেয়নি। ওই মহিলা গয়না চাইতে শুরু করলেই বিপত্তি ঘটে। ওই সময় সংশ্লিষ্ট মহিলাকে মাদক খাইয়ে ঘনিষ্ঠ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে নীলেশকুমার নায়েক।
হাতের বাইরে পরিস্থিতি চলে যেতে থাকলে, নীলেশ বহু কথা বলে ওই গৃহবধূকে একটি হোটেলে নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। যা ওই গৃহবধূর সমস্ত মানসিক জোর নষ্ট করে দেয়। এরপর শক্তি জুটিয়ে ওই মহিলা স্বামীকে সমস্ত কথা খুলে বলেন এবং থানায় গিয়ে দায়ের করেন অভিযোগ।
অভিযোগ পেতেই পুলিশ নীলেশের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। সেই সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় দায়ের করে অভিযোগ।