Goa . (Photo Credit: Facebook)

পানাজি, ৯ ফেব্রুয়ারি: গোয়া রাজ্য হিসেবে যতই ছোট হোক, ক্ষমতা দখলের রাজনীতিতে অনেক কথা বলে অর্থবল। আর সেই গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে (Goa Assembly Elections 2022) এবার অধিকাংশই কোটিপতি প্রার্থী। পাশাপাশি প্রতি ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা চলছে। তার মানে অর্থ, অপরাধের  মিশেলে থাকা প্রভাবশালীদেরই বাছতে হবে গোয়ার আম জনতাকে। আগামী সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় ৪০টি বিধানসভা আসনে এক দফায় ভোট হতে চলেছে।

সেই নির্বাচনে মোট ৩০১ জন প্রার্থী লড়াই করবেন। তাদের মধ্যে ৬২ শতাংশ প্রার্থীই কোটিপতি। পাশাপাশি ২৬ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে চলছে ফৌজদারি মামলা। ২০০৭ গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ৩ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ছিল। সেখান থেকে গত ১৫ বছরে ফৌজদারি মামলা চলা প্রার্থীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ জনে। আরও পড়ুন: 

'বিকিনি পরবেন না ঘোমটা টেনে ঘুরবেন, তা মহিলাদের নিজস্ব বিষয়': হিজাব বিতর্কে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী  

দলবদলের রাজনীতির রাজধানী হিসেবে খ্যাত গোয়া ভোটে অর্থই শেষ কথা বলে। তাই রাজনৈতিক দলগুলি এখানে ধনীদেরই প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করায়। বিজেপির ৪০জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৮জনই কোটপতি। কোটিপতি প্রার্থী দাঁড় করানোয় বিজেপি বাকিদের টেক্কা দিয়েছে। সেখানে এখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ৩৭ জনের মধ্যে ৩২ জনই কোটিপতি। তৃণমূল কংগ্রেস এবারই প্রথম গোয়ায় ভোটের ময়দানে নেমেছে। দিদির দলেও কোটপতি প্রার্থীদের দাপট। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চলা তৃণমূলের ২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে কোটিপতি হলেন ১৭ জন। আম আদমি-র হয়ে লড়ার কথা বলা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের ৩৯ জনের মধ্যে ২৪ জনই কোটপতি। গোয়ার স্থানীয় বড় দল মহারাষ্ট্র গোরক্ষক পার্টি বা MGP-র ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯জন কোটিপতি। নির্দল হয়ে দাঁড়ানো অনেকেও কোটিপতি।

অপরাধমূলক মামলা চলা প্রার্থীদের তালিকাতে কংগ্রেস, বিজেপির দাপট। বিজেপির ঘোষিত ৪০জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধমূলক মামলা চলছে। সেখানে কংগ্রেসের ৩৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা রয়েছে।

ভোটে জিতে দলবদলের জন্য গোয়া কুখ্যাত। গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস ১৭টি আসনে জিতে একক বৃহত্তম দল হলেও দলবদলের রাজনীতিতে হেরে গত পাঁচ বছরে ৭৫ শতাংশ বিধায়ককে হারিয়েছে।