নতুন দিল্লি, ১২ মে: লকডাউনের জেরে গত ৫৫ দিন ধরে দিল্লি বিমানবন্দরের ট্রানজিট এরিয়ায় আটকে ছিলেন বছর ৪০-এর এক জার্মান নাগরিক (German national)। মঙ্গলবার কাকভোরে ভারত ছাড়লেন তিনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি আমস্টারডাম গামী কেএলএম ফ্লাইটে চড়েছেন। বিমানে চড়ার আগে তাঁর লালারসের পরীক্ষা হয়। ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। ওই জার্মান নাগরিকের নাম এডগার জিয়েবা। সে আবার জার্মানির একজন মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল। খবরে প্রকাশ সম্প্রতি জিয়েবাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। উত্তরে জিয়েবা, জানায় এখানে লকডাউন উঠলে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু হবে, তখনই সে ভারত ছাড়বে। যতদিন তা হচ্ছে না ততদিন বিমানবন্দরে থাকার অনুমতি চেয়েছিল জিয়েবা।
দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়, বছর ৪০-এর ওই জিয়েবা এদিন বিশেষ বিমানে জার্মানির উদ্দেশে রওনা হয়েছে। দিল্লিতে অবস্থিত জার্মানির দূতাবাসের তত্ত্বাবধানেই ছেড়েছে বিমান। বিমান সংস্থা বা দূতাবাস কোনও তরফই ওই মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীকে বিমানে ওঠাতে রাজি হয়নি। তুরস্কের পাসপোর্ট না থাকায় তুরস্কগামী বিমান জিয়েবাকে বিমানে তুলতে অস্বীকার করে। গত ১৮ মার্চ থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে রয়েছে জিয়েবা। হানোই থেকে ইস্তানবুল যাওয়ার পথে ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার হিসেবে দিল্লি বিমানবন্দরে নামে জিয়েবা। ভারত আন্তার্জাতিক বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করলে জিয়েবা ভারতের বাইরেও যেতে পারেনি। তাই দিল্লি বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকাতেই আটকে পড়ে। কেননা তার কাছে ভারতে প্রবেশের ভিসাও ছিল না। আরও পড়ুন-West Bengal: করোনা যুদ্ধের মধ্যেই বিবেক কুমারকে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য সচিবের পদ থেকে অপসারণ, নবান্নর সঙ্গে মতান্তরই কী নেপথ্য কারণ!
A German national who was stranded at the transit area of Delhi airport for the past 55 days due to lockdown, left India today early morning by KLM flight to Amsterdam. He tested negative for COVID19 before boarding: Sources pic.twitter.com/Z7sWTxYYmI
— ANI (@ANI) May 12, 2020
এদিকে ট্রানজিট জোনে আটকে পড়ায় ওই জার্মান নাগরিককে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে মশারি, খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। মাঝে মাঝে সে পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে কতাও বলেছে। এতদিন ধরে বিমানবন্দরের ভিতরে ঘোরাঘুরি করেছে সে। মাঝে মাঝে হাউস কিপিংয়ের কর্মীর সঙ্গে টুকটাক বার্তালাপ করেছে। বিমানবন্দরের বাথরুম ব্যবহার করেছে। এবং যখন টার্মিনালের খাবারের দোকান খুলেছে, তখন সেখান থেকে খাবারও নিয়েছে।