Biplab Deb (Photo Credits: Twitter/BiplabKumarDeb/)

আগরতলা, ১২ সেপ্টেম্বর: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদ হারানোর বিপ্লবকুমার দেব-কে এবার রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডা-রা।  বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিপ্লবকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর মানিক সাহা-র ফেলে আসা পদে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় মানি সাহাকে রাজ্যসভার আসন ছাড়তে হয়েছিল। যে মানিককে বসানো হয়েছে বিপ্লবের ছেড়ে আসা মুখ্যমন্ত্রীত্ব-র পদে।

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরার একটা রাজ্যসভা আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিলেন বিপ্লব দেব। তাঁর বিরুদ্ধে বাম প্রার্থী ভানুলাল সাহা। ভানুলাল সাহা ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। আরও পড়ুন- করোনায় দৈনিক সংক্রমণ ৫ হাজারে, পুজোর আগে নিয়ন্ত্রণে কোভিড

৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় ৪০টি-র বেশি ভোট নিশ্চিত করে বিপ্লবের জয় কার্যত নিশ্চিত। রাজ্যসভা পাঠানোর পাশাপাশি বিপ্লবকে হরিয়ানায় দলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বও দিয়েছে বিজেপি।

দেখুন টুইট

৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় বিজেপি-র কাছে আছে ৩৬জন বিধায়ক ও সহযোগী দল IPFT-র কাছে আছে ৮ বিধায়ক। ফলে বিপ্লবের জয় নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এরপরেও বিজেপি-কে ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দিতে নারাজ বামেরা এই আসনে প্রার্থী দিয়েছে। রাজ্যসভা ভোটে বিপ্লবের বিরুদ্ধে বাম প্রার্থী হিসেনে দাঁড় করানো হয়েছে ভানুলাল সাহা-কে। কংগ্রেস সহ সব বিরোধীরা যাতে ভানুলাল সাহা-কে ভোট দেন তার আবেদনও করেছে বামেরা।

ত্রিপুরায় প্রথমবার পদ্ম ফোটানোর তিনিই ছিলেন বড় নায়ক। পুরস্কার হিসেবে অনেক কম বয়সী বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রী করেন নরেন্দ্র মোদী- অমিত শাহ। কিন্তু অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়ে দলকে অস্বস্তিতে ফেললেও বিপ্লবকে সরানো হয়নি। তবে ত্রিপুরায় ভোটের বছর খানেক আগে আচমকাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বিপ্লব কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদে সরার পরেও সরকারী বাঙলো ছাড়েননি। একটা সময় তাঁর ঘনিষ্ঠ হলেও মানিক সাহা-র সঙ্গে দূরত্ব রাখতে শুরু করেছিলেন বিপ্লব। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে মানিক বনাম বিপ্লব শুরু হলে ত্রিপুরায় ক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন হবে, এটা বুঝতে পেরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিপ্লব-কে দিল্লিতে পাঠিয়ে মানিককে ত্রিপুরার দায়িত্ব পুরোপুরি ভাবে দিয়ে দিল।