করতারপুর করিডরের উদ্বোধনে পাকিস্তানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলেন ডঃ মনমোহন সিং
মনমোহন সিং(Photo Credit: IANS)

নতুন দিল্লি, ৩০ সেপ্টেম্বর: করতারপুর করিডর উদ্বোধনে পাকিস্তানের আমন্ত্রণে সাড়া দেবেন না ডক্টর মনমোহন সিং। এদিন কংগ্রেস সূত্রে এমনটাই জানতে পেরেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি করতারপুর করিডর উদ্বোধনের জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে আমন্ত্রণ জানানোর পরে পরেই এই জবাব এসে পৌঁছেছে। এদিন এক ভিডিও বার্তায় মনমোহন সিংকে পাক সরকারের তরফে আমন্ত্রণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন কুরেশি (Shah Mahmood Qureshi)। আগামী ৯ নভেম্বর করতারপুর করিডরের উদ্বোধনের দিন ধার্য হয়েছে। কুরেশি বলেন, আমরা ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডক্টর মনমোহন সিংকে আমন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি শিখ সম্পদ্রায়ের একজন্য নামী প্রতিনিধি। পাকিস্তান সরকারের তরফে আমি তাঁকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। খুব শিগগির লিখিত আমন্ত্রণপত্র তাঁর কাছে পৌঁছাবে।

উল্লেখ্য, করতারপুর করিডর উদ্বোধনের অনুষ্ঠান বড় করে করতে চায় পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার। তাই তো মনমোহন সিংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাছাড়া মনমোহন সিং হলেন ভারতের প্রথম শিখ প্রধানমন্ত্রী, যিনি ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। করতারপুর করিডর ভারতের শিখ পুণ্যার্থীদের স্বাগত জানাতেই তৈরি হয়েছে। তাঁরা যাতে পাঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলার ডেরাবাবা নানকের সমাধি থেকে সোজা করতারপুর করিডর হয়ে পাকিস্তানের করতারপুর সাহিবে পৌঁছাতে পারেন। চলতি বছরের ৯ নভেম্বর গুরু নানকের ৫৫০-তম জন্মদিবস। ওই দিনই করতারপুর করিডরের উদ্বোধন হচ্ছে। আরও পড়ুন-ইমরান খানের আমন্ত্রণ, নভেম্বরে পাকিস্তানের করতারপুর সাহিব করিডরের উদ্বোধন করবেন মনমোহন সিং

জানা গিয়েছে, গুরু নানকের জন্ম শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সীমান্ত পেরিয়ে করতারপুর যেতে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের কোনও ভিসা লাগবে না। শুধু পুণ্যার্থীরা করতারপুর সাহিবে যাওয়ার অনুমতিপত্র সঙ্গে রাখলেই হবে। ভারত সীমান্ত থেকে করতারপুর গুরুদ্বার দরবার সাহিব পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করেছে পাকিস্তান। একইভাবে পাঞ্জাবের ডেরাবাবা নানক (Dera Baba Nanak shrine) থেকে সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করেছে ভারত সরকার। উৎসবের প্রতিটি দিন সীমান্ত দিয়ে করতারপুর গুরুদ্বারে যেতে পারবেন ৫০০০ ভারতীয় পুণ্যার্থী। এই মর্মে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে। ২০১৮-র ২৮ নভেম্বর করতারপুর করিডরের শিলান্যাস করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই সময় ভারতের তরফে শিলান্যাস করেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। ভারতের ডেরাবাবা নানক থেকে পাকিস্তানের করতারপুর সাহিবের দূরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার